ঝাড়গ্রাম: প্রায় দু বছর পরে স্কুলে এসে আনন্দে মাতোয়ারা খুদে পড়ুয়ারা। ঝাড়গ্রাম ব্লকের আগুইবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ডিডিহা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর কলরব মুখরিত হয়ে উঠলো বুধবার।
গ্রামের এক প্রান্তে রাস্তার ধারে ঝকঝকে স্কুল বাড়ি তবে সেই স্কুল বাড়ির ছাদ বড়ই দুর্বল। স্কুলের প্রাচীরও অসম্পূর্ণ। দু’টি ঘরে প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রথম শ্রেণীর পঠন-পাঠন হয়। তবে বুধবার স্কুল খোলার দিনে পড়ুয়াদের একটু ভিন্নভাবে স্বাগত জানানোর আয়োজন করেছিলেন স্কুলের দুই শিক্ষক। টিচার ইনচার্জ অর্করঞ্জন মাহাতো তিনি এলাকার বিরিহাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
আর সহ শিক্ষক সৌরভ সাউয়ের আদি বাড়ি জামবনি ব্লকের চিচিড়া গ্রামে। তবে এখন থাকেন ঝাড়গ্রাম শহরে। বুধবার দুই শিক্ষকের আয়োজনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের চকোলেট, কলম ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। প্রায় দু’বছর পরে স্কুলে এসে আনন্দে আত্মহারা পড়ুয়ারা।
পরম স্নেহে ছাত্র-ছাত্রীদের এদিন পাঠদান করেন টিচার ইনচার্জ অর্করঞ্জন মাহাতো এবং সহ শিক্ষক সৌরভ সাউ। তাঁরা বলেন, দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে থেকেই নিজের মত পড়াশুনা করেছে। আর স্কুলের তরফে সরকারি নিয়ম মেনে যা যা করণীয় সেটা করা হয়েছে। কিন্তু এলাকার বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর বাড়িতে দেখিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। তাই এই দু’বছরে তারা পড়াশোনা চর্চা সেভাবে করে উঠতে পারেনি। তাই কিছু ঘাটতি তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রথম দিন থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করছেন দুই শিক্ষক।
স্কুলটির দুই শিক্ষকের আত্মপ্রত্যয় দেখে মুগ্ধ হতে হয়। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, এই ধরনের শিক্ষকরাই প্রত্যন্ত এলাকায় জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালানোর কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে।