রুশ জ্বালানি কেনা নিয়ে মতবিরোধ ইউরোপে !
রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই চাপের মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর সদস্য দেশগুলো আগামী গ্রীষ্মের মধ্যে রুশ কয়লা আমদানি বন্ধ করতে সম্মত হলেও সমস্যা বেঁধেছে তেল-গ্যাস নিয়ে।
পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলো রুশ জ্বালানি কেনা বন্ধের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। তবে এক্ষেত্রে জার্মানি ঢিলেমি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সরকার সম্প্রতি সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
তবে রুশ জ্বালানি নিষিদ্ধ করার পথে সম্ভাব্য বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে হাঙ্গেরিকে। দেশটি রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তাছাড়া হাঙ্গেরির নতুন পুনর্নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন।
বুদাপেস্টের সঙ্গে ব্রাসেলসের মতবিরোধ নতুন নয়। তবে অরবান প্রশাসনের কার্যকলাপ এ সপ্তাহে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ইইউ। যদিও কূটনীতিকরা স্বীকার করছেন, প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আলোচনা দুরূহ হবে।
আর শেষপর্যন্ত যদি সমঝোতা হয়, আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার পক্ষপাতী দেশগুলোর জন্য তা গলাধঃকরণ করা কঠিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে সমাধানের পথ খুঁজতে ইইউর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর তীব্র চাপ তৈরি হবে।
২৭ সদস্যের এ জোট জানে, তারা রুশ জ্বালানির ওপর আর নির্ভরশীল থাকতে পারবে না। কারণ এরই মধ্যে পোল্যান্ড-বুলগেরিয়ায় গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তাছাড়া ইউরোপীয়দের নৈতিক বাধাও রয়েছে।
মাসখানেক আগে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান স্বীকার করেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইইউ জ্বালানি আমদানির জন্য রাশিয়াকে সাড়ে তিন হাজার কোটি ইউরোর বেশি অর্থ দিয়েছে। ব্রাসেলসের অনেকেই এটিকে ‘ব্লাড মানি’ বলে মনে করেন।