দেশের একাধিক প্রান্তে জমি দখল করে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে চীন!
অরুণাচল প্রদেশে, একের পর এক ভারতীয় গ্রাম দখল করে সেখানে নিজেদের দেশের গ্রাম, বিমানবন্দর ও সড়ক তৈরি করছে চীন।শুক্রবার অভিযোগ করলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা তথা পিএসসি কমিটির চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী।
আজ বহরমপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘উপগ্রহ থেকে যে সমস্ত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অরুণাচল প্রদেশে চীন কীভাবে দখলদারি শুরু করেছে। আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব নিজেদের দপ্তরে বসে ভালো করে সেই চিত্র দেখুন।’
প্রসঙ্গত, গত তিন বছরে ভারত-চীন সীমান্ত বরাবর একাধিক জায়গায় দুই দেশের সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় লাদাখে বেশ কয়েকজন ভারতীয় এবং চীনা সৈন্যর মৃত্যুও হয়। তারপর থেকেই লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে জোর করে ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফেও জানানো হয়েছে, লাদাখে একটি বড় সেতু তৈরির কাজে হাত দিয়েছে চিন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্য, এই সেতু নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য ভারতের সঙ্গী কোনও সামরিক সংঘাত হলে তারা যাতে দ্রুত সীমান্তে ভারী সাঁজোয়া গাড়ি এবং সেনা মোতায়েন করতে পারে।
অধীরবাবু বলেন, ‘লাদাখে ভারতের জমি দখল করে নিয়ে ব্রিজ, এয়ারস্ট্রিপ এবং রাস্তা তৈরি করছে চীন। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র দিনের পর দিন ভারতের জমি দখল করে চললেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কিছুই বলছে না। চিনের কাছে ভারতকে বিক্রি করে দিচ্ছে তারা।’
বিজেপি নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে অধীরবাবু বলেন, ‘তাঁরা এখন শুধু ব্যস্ত কোথায় আজান হবে, কোথায় জ্ঞানবাপী হবে এই নিয়ে বড় বড় ভাষণ দিতে। অন্যদিকে চীন, ভারতকে দিনের পর দিন একটু একটু করে কব্জা করে চলেছে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী গোটা বিষয় নিয়ে নীরব। দেশের সংসদে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে সরকার প্রশ্ন এড়িয়ে চলেছে।’
লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা দাবি করেন, ‘চীনা সেনার দখলদারির কারণে বর্তমানে লাদাখে ১৮টি জায়গায় ভারতীয় সেনা পেট্রোলিং করতে পারছে না। আগে ওই সমস্ত জায়গাতে ভারতীয় সেনা পেট্রোলিং করতো। দেশের বিজেপি সরকার মানুষকে বোকা বানিয়ে চলেছে।’
অন্যদিকে আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যাতে দ্রুত চাকরি পান তা সুনিশ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আজ অধীরবাবু একটি চিঠিও লিখেছেন।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ইস্যুতে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, ‘রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা ধার করেছে বিভিন্ন কারণে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের চাকরির একটি অন্যতম শর্ত ডিএ প্রদান। তাই সরকারের উচিত কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিয়ে দেওয়া।’