হুগলি

অনলাইনে শাড়ি কিনে প্রতারণার শিকার হুগলির গৃহবধূ

মিল্টন সেন

অনলাইনে শাড়ি কিনে প্রতারণার শিকার হুগলির গৃহবধূ

সোশ্যাল সাইট থেকে অনলাইনে দু’ হাজার টাকার শাড়ি অর্ডার দিয়ে খোয়ালেন ৯৯ হাজার টাকা।

প্রতারণার শিকার ব্যান্ডেলের গৃহবধূ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে চুঁচুড়া থানা এবং চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। প্রতারিত হয়েছেন ব্যান্ডেলের বাসিন্দা রশমি জৈন। তিনি চলতি মাসের সাত তারিখে অনলাইনে একটি শাড়ি অর্ডার করে ছিলেন। সুরাটে সেই শাড়ির দাম ছিল দু’হাজার টাকা। বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও শাড়ি ডেলিভারি হয় না।

অবশেষে দিন ১৫ পর মোবাইলে শাড়ি ডেলিভারি হয়েছে বলে মেসেজ আসে। কিন্তু শাড়ি না বাড়িতে আসেনি। যে কুরিয়ার সংস্থা শাড়ি ডেলিভারি করে গুগুলে সার্চ করে তার নম্বর জোগাড় করেন। সেখানে ফোন করে তাঁর অর্ডার সম্পর্কে জানতে চান গৃহবধূ। কুরিয়ার থেকে বলা হয় পার্সেল এসে গেছে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য টোকেন মানি হিসাবে দু’টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে। টাকা পেমেন্টের জন্য একটা ওটিপি দেওয়া হয়। ওটিপি বলতেই ৯৯ হাজার টাকা এ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে যায়। এর দু’দিন পর শাড়ি দিয়ে যায় কুরিয়ার সংস্থার ডেলিভারি বয়।

গৃহবধূর স্বামী সঞ্জীব জৈন জানান, এর আগে অনেক শাড়ি কেনা হয়েছে, কিন্তু এরকম হয়নি। কুরিয়ার ডেলিভারি বয়ের কোনও কারসাজি থাকতে পারে। তাই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কুরিয়ার সংস্থার কর্মী রঞ্জিত ঘোষ বলেন, কুরিয়ার বয় প্রীতম দে পার্সেল নিয়ে গিয়েছিলেন। জানা যায় নির্দিষ্ট সময় সেই পার্সেল ডেলিভারি হয়নি।

যে কারণে গ্রাহক কুরিয়ার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। খোঁজ নিয়ে জানা যায় কুরিয়ার বয় পার্সেল তার কাছে রেখে দিয়েছিল। পরে ভুল করে পাশের বাড়িতে পার্সেল দিয়ে এসেছিল। পড়ে সেখান থেকে তুলে পার্সেল গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় কুরিয়ার যুক্ত নয়। তবে এই ঘটনায় তাদের বদনাম হচ্ছে। যে ফোন নম্বর থেকে গ্রাহককে ফোন করে প্রতারণা করা হয়েছে সেই নম্বর দিয়ে তাঁরাও অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগকারী সঞ্জীব জৈন ও কুরিয়ার সংস্থার লোকজকে ডাকা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

ছবি: পার্থ রাহা
সূত্র : আজকাল

আরও পড়ুন ::

Back to top button