বেলপাহাড়ি: গৃহপালিত প্রাণিদেরও পরিচর্যা প্রয়োজন। প্রাণিস্বাস্থ্যের উন্নতি হলে আখেরে সেটা সংশ্লিষ্ট মালিকেরও আর্থিক উন্নতি। বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত দলদলি গ্রামের বাসিন্দাদের এমনই বার্তা দেওয়া হল পুলিশের ‘সহায়’ শিবিরে।
৫ আগস্ট ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং বেলপাহাড়ি থানা ও প্রাণিসম্পদবিকাশ দফতরের সহযোগিতায় দলদলি গ্রামে ওই প্রাণি স্বাস্থ্য পরীক্ষার শিবিরের আয়োজন করা হয়। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই দলদলির রাস্তায় ল্যান্ডমাইন ফাটিয়ে পুলিশের গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছিল নকশালপন্থী জনযুদ্ধ গোষ্ঠী। মৃত্যু হয়েছিল সাত পুলিশ কর্মীর। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে মাওয়িস্ট কমিউনিস্ট সেন্টার ও জনযুদ্ধ মিশে গিয়ে গঠিত হয় সিপিআই (মাওবাদী)।
পরবর্তী প্রায় আট বছর ধরে বেলপাহাড়ি, লালগড় সহ জঙ্গলমহলে খুন-সন্ত্রাস চালিয়েছিল মাওবাদীরা। সেই রক্তাক্ত অধ্যায় এখন অতীত। এলাকায় শান্তি ফেরায় এখন পর্যটনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে বেলপাহাড়ির বিভিন্ন এলাকায়। ১ অগস্ট থেকে জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে ‘সহায়’ কর্মসূচি। সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকরা পৌঁছে যাচ্ছেন প্রত্যন্ত এলাকায়।
বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনে সেই মত প্রতিকারের ব্যবস্থাও হচ্ছে। এবার ‘সহায়’ কর্মসূচির মাধ্যমে জেলায় এই প্রথমবার পুলিশের উদ্যোগে প্রাণিস্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হল। এদিন শিবিরে দলদলি ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের আড়াইশো বাসিন্দা এসেছিলেন। এলাকাবাসীর গৃহপালিত প্রাণিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন প্রাণিচিকিৎসকরা।
বাসিন্দাদের পাত পেড়ে খিচুড়িও খাওয়ানো হয়। এসডিপিও (বেলপাহাড়ি) উত্তম গরাঁইন নিজে এলাকাবাসীকে খাবার পরিবেশন করেন। ছিলেন বেলপাহাড়ি থানার আইসি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, বাঁশপাহাড়ি ফাঁড়ির ওসি মানস চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।