Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জাতীয়

মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করত মেয়েটি, তাই হত্যা করলেন বাবা

Uttar Pradesh : মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করত মেয়েটি, তাই হত্যা করলেন বাবা - West Bengal News 24

অমতে প্রেম করায় নিজের মেয়েকে মাথা কেটে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা শহিদ কুরেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেয়ে ২৫ বছর বয়সী শাহিনা তার ‘অপছন্দের ছেলের’ সঙ্গে প্রেম করায় তাকে হত্যা করেন শহিদ। পরে শাহিনার কাটা মাথা একটি ড্রেনে ফেলে দেন তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মীরুটের লিসারি গেটের ড্রেন থেকে শাহিনার কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শাহিনার বাবা শহিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১২ আগস্ট সকালে স্থানীয় একটি কবরস্থানের বাইরে রাস্তায় চাদরে মোড়ানো অবস্থায় ওই নারীর মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায়।

এসপি সিটি বিনীত ভাটনাগর জানান, আর্থমুভার ব্যবহার করে রাতব্যাপী অভিযানের পর, আমরা ড্রেন থেকে ওই নারীল কাটা মাথা উদ্ধার করি। এটি একটি ওড়নায় মোড়ানো ছিল। হত্যার জন্য ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শাহিদ এবং তার স্ত্রী শেহনাজ উভয়ের বিরুদ্ধেই আইপিসি ধারা ৩০২ (হত্যা), ২০১ (প্রমাণ লুকানো) এবং ১২০ বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে শহিদ বলেছেন, আমার কোনো অনুশোচনা নেই। তারা শেখাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে আমার স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ দিত সে। আমার কাছে আর কোনো উপায় ছিল না। সে আমাদের অপমানিত করেছে। তাই তাকে শেষ করে দিয়েছি।

এদিকে শেহনাজ বলেছেন, আমি ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কিছু জানতাম না। হত্যার সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম। তখন আমার আরেক মেয়েকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

পুলিশ বলছে, ওয়াসিম নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল শাহিনার। কিন্তু এতে অমত ছিল শহিদের। দুই বছর ধরে তাদের প্রেম চললেও ছয় মাস আগেই পুরো বিষয় জানতে পারেন শহিদ। এরপর বাড়ি বদলে ফেলেন তিনি। কিন্তু ওয়াসিমের সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যান শাহিনা। একবার তার সঙ্গে পালিয়েও যায় সে। পরে আবার ফিরেও আসে। তবে এবার ওয়াসিমের সঙ্গে শাহিনাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছিলেন শহিদ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button