ক্রিকেট

হুট করেই অবসর নিলেন অজি ভাইস ক্যাপ্টেন রাচেল হেইন্স

হুট করেই অবসর নিলেন অজি ভাইস ক্যাপ্টেন রাচেল হেইন্স

অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ও ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা র‌্যাচেল হেইন্স আচমকাই ছেড়ে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আগামী বিগ ব্যাশ শেষে খেলোয়াড়ী জীবনকে পুরোপুরিই বিদায় জানাবেন নারী ক্রিকেটের এই তারকা।

সবশেষ কমনওয়েলথ গেমসের সোনা জয়ের পাশাপাশি দুটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি।

৩৫ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার সবশেষ খেলেন ইংল্যান্ডের দা হান্ড্রেড-এ। সেখানে খুব ভালো ছিল না তার পারফরম্যান্স। গত মাসে কমনওয়েলথ গেমসে অস্ট্রেলিয়ার সোনা জয়ের অভিযানেও সেরা চেহারায় দেখা যায়নি তাকে।

তবে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্নও ওঠেনি। দলের সবচেয়ে কার্যকর ব্যাটারদের একজন হিসেবেই মনে করা হতো তাকে। দলের চাওয়া মিটিয়ে ব্যাট করতে পারতেন বিভিন্ন পজিশনে। ওয়ানডেতে তো সবশেষ আসরেও দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে দারুণ দুটি ইনিংস খেলেন তিনি।

সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এলিসা হিলির সঙ্গে ২১৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পথে হেইন্স করেন ৮৫ রান। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হিলির সঙ্গেই ১৬০ রানের জুটির পথে হেইন্সের অবদান ছিল ৬৮।

সেই দুটিই হয়ে রইল তার শেষ দুই ওয়ানডে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ৯ ইনিংসে ৬২.১২ গড়ে ৪৯৭ রান করে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার।

শান্ত ও স্থিতধী ব্যাটার হিসেবে পরিচিত ছিল হেইন্সের। একঝাঁক স্ট্রোকপ্লেয়ারের ভীড়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইন আপকে এক সুতোয় গেঁথে রাখার কাজটি করতেন তিনি। টপ অর্ডার থেকে লোয়ার মিডল অর্ডার পর্যন্ত যে কোনো পজিশনে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতার জন্য দলে তার ছিল বাড়তি কদর।

৭১ ওয়ানডে ইনিংস খেলে ২ সেঞ্চুরি ও ১৯ ফিফটিতে তার রান ৩৯.৭২ গড়ে ২ হাজার ৫৮৫। টি-টোয়েন্টিতে ৫৬ ইনিংসে ২৬.৫৬ গড়ে ৮৫০ রান করেন ১১৭.৭২ স্ট্রাইক রেটে।

২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাতে নেমে ৯৮ রানের ইনিংস খেলে তার টেস্ট অভিষেক। পরে টেস্টেও তিনি উঠে আসেন ওপেনিংয়ে। মেয়েদের টেস্ট ম্যাচ হয় খুবই কম, হেইন্সের ক্যারিয়ারও তাই শেষ ৬ টেস্টেই। সবশেষ টেস্টে গত জানুয়ারিতে ক্যানবেরায় ইংলিশদের বিপক্ষে তিনি খেলেন ৮৬ রানের ইনিংস।

তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দুটি ভাগ স্পষ্ট। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত প্রথম ভাগ, এরপর তিনি জায়গা হারান দলে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ছন্দ পেতে ধুঁকছিলেন। ২০১৬ সালে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছিলেন গুরুত্ব দিয়ে। তবে কয়েকজনের চোটে ২০১৭ সালে আবার জাতীয় দলে সুযোগ পেলে তার। এবার নিজের ক্যারিয়ার সাজান নতুন রূপে।

ক্যারিয়ারের প্রথম ভাগে তার ওয়ানডে ব্যাটিং গড় ছিল ৩১.২৮, পরের ভাগে গড় ৪৫.০৭। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ভাগে তার গড় ছিল স্রেফ ১৭.১৫, স্ট্রাইক রেট ৯৯.১১। পরের ভাগে সেখানে উন্নতি হয়ে দাঁড়ায় ৩৩ গড় ও ১২৬.১৫ স্ট্রাইক রেটে।

নিয়মিত অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের অনুপস্থিতিতে নানা সময়ে ১৪টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্বও দেন তিনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button