তৃণমূল সাংসদের জন্য ধুতি পাঞ্জাবি কিনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। শন্তিকুঞ্জে অর্থাৎ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে বহুকাল ধরেই হয়ে আসছে লক্ষ্মীপুজো। এবারের লক্ষ্মীপুজোয় নিমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই আমন্ত্রণ পেয়েই শান্তিকুঞ্জে আসেন সুকান্ত মজুমদার।
সূত্রের খবর, নিমন্ত্রণ রাখতে শান্তিকুঞ্জে খালি হাতে যাচ্ছেন না সুকান্ত। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা-মায়ের জন্য ধুতি পাঞ্জাবি আর শাড়ী কিনেছেন তিনি। এই প্রথমবার শান্তিকুঞ্জে আসেন সুকান্ত। আর তাঁর যাওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। শুধুই কি নিমন্ত্রণরক্ষা ? নাকি এর পিছনে আছে রাজনৈতিক কোনো অভিসন্ধি ? যদিও এই সফরকে ঘিরে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। অধিকারী বাড়ির প্রাচীন লক্ষ্মীপুজোয় আমন্ত্রণ পেয়েই তিনি শান্তিকুঞ্জে যাচ্ছেন। একথাই জানিয়েছেন সুকান্ত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি অবশ্য অন্য। তাঁরা মনে করছেন যে, শিশির অধিকারী আসলে তৃণমূল নাকি বিজেপির তা নিয়ে বহুকাল থেকেই দ্বন্দে আছেন বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।
শিশির অধিকারী, খাতায় কলমে এখনও তৃণমূলের টিকিটে জেতা সাংসদ। শান্তিকুঞ্জের বাসিন্দা শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বর্তমানে বিজেপি শিবিরে থাকলেও শান্তিকুঞ্জের আরও দই বাসিন্দা শিশির অধিকারী বা দিব্যেন্দু অধিকারী আনুষ্ঠানিকভাবে দলবদল করেননি।
বিজেপির কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা না গেলেও তাঁদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা দীর্ঘদিনের। এই আবহে এদিন সুকান্ত মজুমদারের শান্তিকুঞ্জে যাওয়া কিসের বার্তা দিচ্ছে ? এই প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।