উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে উৎকণ্ঠার তৈরি করেছে। আমেরিকার সামরিক আগ্রাসনই কোরিয়ান উপদ্বীপকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বিতর্কের মুখে এমনটাই সাফাই উত্তর কোরিয়ার। গত কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে কিম জং উনের দেশ। এ নিয়ে একদিকে যখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তখন উত্তর কোরিয়ার তরফে প্রকাশ করা হয়েছে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ছবি।
সোমবার উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আমেরিকা এবং তার বন্ধু দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় জবাবি হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলছে। তবে গত কয়েক দিনে যেসব অস্ত্র তারা পরীক্ষা করেছে, তা সফল হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি কিমের সেনাবাহিনী।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, তাদের অস্ত্র পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল, নিজেদের সামরিক শক্তি যাচাই করা। এমনটাই জানিয়েছিলেন কিম। কিন্তু সোমবার তাঁর দেশের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিমানঘাঁটি এবং যুদ্ধবিমানগুলিতে প্রতি-আক্রমণ করে ‘অপারেশন কমান্ড সিস্টেম’গুলিকে অচল করে দিতে চলছে ধারাবাহিক এই অস্ত্র পরীক্ষা।
তবে এই পরীক্ষা চালাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কিমের দেশ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ছে পড়শি দেশে। ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অক্টোবরে জাপানের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। উত্তর-পূর্ব জাপান অতিক্রম করে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। ‘জবাবে’ জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আমেরিকা এবং তাদের মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। স্বাভাবিকভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বুধবারও ফের একই ঘটনা ঘটে। পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ার পরেই দ্রুত পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে সোল। কিমের দেশের এমন আচরণ কার্যত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।