শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জোট খুলতে একের পর এক বেরিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার রাজ্যের প্রাইভেট ডিএলএড অর্থাৎ টিচার্স ট্রেনিং কলেজেগুলিতে অফলাইনে বিপুল সংখ্যক ছাত্র ভর্তির নেপথ্যে থাকা রহস্য ভাবাচ্ছে ইডিকে।
সূত্রের দাবি, ইডির স্ক্যানারে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইড ও সার্ভার। প্রাইভেট টির্চাস ট্রেনিং কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াতেই কারচুপি হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান ইডির। অনলাইনে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন এই সার্ভার জ্যাম করে কারসাজি হয়ে থাকতে পারে বলে ইডির আধিকারিকদের সন্দেহ।
তদন্তকারীদের এও অনুমান, সাধারণ মানুষের সন্দেহ এড়াতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার পরে একটা নির্ধারিত আসন সংখ্যা দিয়ে দেওয়া হত সার্ভারে। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই জ্যাম করে দেওয়া হত সার্ভার। ফলে নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদনকারীদের পরে বাকিদের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে শুরু হত সমস্যা। আন-সাকসেসফুল বলে চিহ্নিত হত। তাই যাঁরা পারলেন না, তাঁরা অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগাযোগ করতেন কলেজগুলোর সঙ্গে।
ইডির দাবি, সার্ভারে কারসাজি করে অল্প সংখ্যায় অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন দেখানো হত। এরপর বলা হত আসন পূর্ণ হয়নি। নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করার পিছনেও ছিল বড় পরিকল্পনা। তদন্তকারীদের অনুমান, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতি কলেজ থেকে ছাত্র পিছু মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত।
জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে ছাত্র পিছু মানিকের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০০০ টাকা। টাকার ভাগ কলেজগুলোর কাছে যেতে বলেও অনুমান। কলেজগুলোকে নোটিস ইস্যু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।