রোগীর সাধারণ ‘ভাইরাল’ জ্বর হলে এখন থেকে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবেন না। সম্প্রতি এই নির্দেশিকা জারি করেছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)। পাশাপাশি আইসিএমআর জানিয়েছে, ত্বক এবং নরম টিস্যু সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকগুলি পাঁচ দিনের, নিউমোনিয়া সংক্রান্ত সংক্রমণের ক্ষেত্রে পাঁচ দিন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনওভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। এই ওষুধ খাওয়ার শুরু এবং শেষের দিন মনে করে রাখতে হবে। কোর্স শেষ হওয়ার পরও যদি সমস্যা না কমে, তবুও ওষুধের সংখ্যা বাড়ানো যাবে না। ৮ দিনের বেশি জ্বর থাকলে এবং পরবর্তী কালে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে পাঁচ দিনের অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করা যেতেই পারে। এছাড়া, দেহে কোনও সংক্রমণ হলেও ওই একই মাত্রায় দেওয়া যেতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক। তবে তার বেশি একেবারেই নয়।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, সামান্য কিছু হলেই অধিকাংশ রোগীর মধ্যেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা থাকে। এর ফলে শরীরে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া কমে ঠিকই কিন্ত অন্ত্রে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়।