৫৪ বছর পর ফিরে পেলেন হারানো মানিব্যাগ
হারিয়ে যাওয়া জিনিস খুঁজে পেলে কার না ভালো লাগে। যদি অনেক বছর আগের হারানো জিনিস পাওয়া যায়, তবে তো বাড়তি আনন্দ। তাই বলে অর্ধশত বছরের বেশি আগে হারানো কিছু ফিরে পাওয়ার কথা কি কেউ ভাবতে পারেন! ফেরত পেলে সেই আনন্দের মাত্রা হবে কতটা, সেটা কি ভাবা যায়! যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের এক নারীর সঙ্গে এমন ঘটনাই ঘটেছে। স্কুলজীবনে হারিয়ে ফেলা একটি মানিব্যাগ ৫৪ বছর পর ফিরে পেয়েছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ইউপিআইয়ের খবর, ওই নারীর নাম শ্যারন ডে। ১৯৬৮ সালে আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের ফায়েটভিল হাইস্কুলে একটি নাচের অনুষ্ঠানে মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ১৬ বছর। এরপর বহু খুঁজেছেন মানিব্যাগটি। তবে ফিরে পাননি। একপর্যায়ে সেটি পাওয়ার আশা ছেড়ে দেন।
তবে কথায় আছে, ভাগ্যের লিখন, যায় না খণ্ডন। শ্যারনের ক্ষেত্রে যেন তা–ই হয়েছে। ২০১৯ সালে ফায়েটভিল হাইস্কুলটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুলটিকে সংস্কার করে আবাসিক ভবন তৈরির কাজ চলছিল। এ সময় ভবনের একটি পুরোনো পাইপের ভেতর একটি মানিব্যাগ পান শ্রমিকেরা।
স্কুলভবনটি সংস্কারের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক ব্রাডলি স্কট বলেন, ওই পাইপগুলো বহু বছর ধরে বন্ধ ছিল। সেটি খোলার পর পুরোনো অনেক জিনিসই পাওয়া যায়। এরই একটি ছিল ওই মানিব্যাগ। এমনকি একটি বক্সিং ম্যাচের কয়েকটি টিকিটও সেটির ভেতরে ছিল।
পরে কীভাবে মানিব্যাগটি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেবেন, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন স্কট। তিনি বলেন, ‘মানিব্যাগটির ভেতরে কয়েকটি ছবি ছিল। ছবিগুলোর কয়েকটিতে নাম লেখা ছিল। এ ছাড়া পরিচয় শনাক্ত করা যায়, এমন একটি কার্ডও পাওয়া যায়। এগুলো দেখে মনে হলো, আমি তো এই মানুষটাকে খুঁজে বের করতে পারি।’
এরপর ছবি ও কার্ডে লেখা নামগুলো দিয়ে ফেসবুকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্কট। প্রায় এক সপ্তাহ পর সন্ধান পান শ্যারন ডের। এদিকে মানিব্যাগ ফিরে পেয়ে শ্যারন তো খুশিতে আত্মহারা। তাঁর ভাষায়, ‘এমনটা হবে, তা আমি কখনোই ভাবিনি।’ শ্যারনের ইচ্ছা, ফিরে পাওয়া মানিব্যাগে থাকা জিনিসগুলো আলাদা একটি অ্যালবামে সাজিয়ে রাখবেন।