স্বাস্থ্য

দাঁত বাঁচাতে চান? ধূমপান ত্যাগসহ যে নিয়মগুলো অবশ্যই মানতে হবে

দাঁত বাঁচাতে চান? ধূমপান ত্যাগসহ যে নিয়মগুলো অবশ্যই মানতে হবে

মাদবদেহের সবচেয়ে শক্ত অঙ্গ দাঁত। খুব গুরুত্বপূর্ণও বটে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিই অকালে নষ্ট হয়ে যায় মানুষেরই কিছু অনিয়ম ও বদঅভ্যাসের কারণে। দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি থেকে রক্তপাতসহ নানা সমস্যা এসে হাজির হয়। নিয়মিত যারা ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যায় পড়ার ঝুঁকি আরও বেশি।

এর ফলে বয়সের কোটা ৫০ পার হওয়ার আগেই দাঁত তোলা এবং রুট ক্যানাল করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। অথচ কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং ধূমপানের মতো বদঅভ্যাস ত্যাগ করলে তাদের নানা সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব। একবার ভাবুন তো, যদি অকালে দাঁত নষ্ট হয় বা পড়ে যায়, তাহলে খাবার খেতে কতটা বিপাকে পড়বেন। তাই কিছু নিয়ম মানতেই হবে।

১। নিয়মিত দাঁত মাজা
সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার অভ্যাস সবার নিয়মের মধ্যেই পড়ে। তবে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আর এক বার দাঁত মাজার অভ্যাস। কারণ, রাতে খাবার গ্রহণের পর সারারাত তা দাঁতে আটকে থেকে দুর্গন্ধ হয়, দাঁতের নানা রোগ হয়। ফলে রাতে দাঁত মাজাটা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নিয়মিত ফ্লসও ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুন :: অ্যাসিডিটি সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

২। টুথপেস্ট বাছাই
এক কথা আছে বিজ্ঞাপনেই প্রসার। তাই টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই ভুলভাল টুথপেস্ট ব্যবহার শুরু করেন। তাতে দাঁতের আরও বেশি ক্ষতি হয়। তাই টুথপেস্ট বাছাইয়ের সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তাতে যেন ফ্লুওরাইড থাকে। এই উপাদান দাঁতের হলদে ছাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে একজন দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

৩। মাউথওয়াশ
দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চেষ্টা করুন দিনে এক থেকে দুইবার কোনো অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হয় না আর দাঁতের উপর জমে থাকা জীবাণুর স্তরও সরে যায় সহজে। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের মাউথওয়াশ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন তার মধ্য থেকে যে কোনোটি।

৪। কুলকুচি করা
প্রত্যেকবার খাওয়াদাওয়ার পর সব সময়ে চেষ্টা করবেন যাতে জল দিয়ে কুলকুচি করে নিতে পারেন। অনেকের দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে থাকে, তাতে যা-ই খাওয়া হোক না কেন। সে ক্ষেত্রে টুথপিক ব্যবহার করে দাঁতের ফাঁকের জমে থাকা খাবারগুলো বের করে কুলিকুচি করা উত্তম। ধূমপানের পরও এমনটা করা উচিত। না হলে নিকোটিনের স্তর জমে দাঁতের বারোটা বাজে।

৫। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া
প্রত্যেকেরই উচিত বছরে অন্তত দুইবার একজন ভালো দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের যাওয়া উচিত আরও বেশি বার। ধূমপায়ীদের দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা সব সময়ই অন্যদের তুলনায় বেশি। তাই বছরে অন্তত দুইবার স্কেলিং করানো জরুরি। সবচেয়ে ভালো যদি ধূমপানের মতো বদঅভ্যাস ত্যাগ করা যায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button