বর্ধমান

বর্ধমান শহরে উত্‍সব ময়দানে শুভ উদ্বোধন হলো খাদি গ্রামীণ শিল্প মেলা ২০২৩

বর্ধমান শহরে উত্‍সব ময়দানে শুভ উদ্বোধন হলো খাদি গ্রামীণ শিল্প মেলা ২০২৩

খাদি মানে পরম্পরা, খাদি মানে নির্ভরতা–তাই তো খাদি সবার সেরা। নতুনভাবে নতুনরূপে খাদি এখন সব বয়সের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মেলার মূল উদ্দেশ্য হল রাজ্যের গ্রামীণ শিল্পকলাকে তুলে ধরা। খাদি , খদ্দর থেকে উদ্ভূত হয়েছে,একটি হাতে কাটা ও বোনা প্রাকৃতিক তন্তু কাপড় যা মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য স্বদেশী হিসাবে প্রচার করেছিলেন এবং শব্দটি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জুড়ে ব্যবহৃত হয়।

হাতে বোনা কাপড়ের প্রথম টুকরোটি ১৯১৭-১৮ সালে সবরমতী আশ্রমে তৈরি করা হয়েছিল। কাপড়ের অমসৃণতাকে ‘গান্ধী খাদি’ বলে অভিহিত করেন।কাপড়টি তুলা থেকে তৈরি করা হয়, তবে এতে রেশম বা পশমও থাকতে পারে, যেগুলো সবই চরকায় সুতোয় কাটা হয়।

এটি একটি বহুমুখী বুনন যা গ্রীষ্মে শীতল ও শীতকালে উষ্ণ থাকে। এর গঠন উন্নত করার জন্য খাদিকে মাঝে মাঝে মাড় দেওয়া হয় যাতে এটি একটি শক্ত অনমনীয়হয়। এটি বিভিন্ন ফ্যাশন পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়।জনপ্রিয় পোশাক যেমন ধুতি, কুর্তা ও তাঁতের শাড়ি যেমন পুট্টপাকা শাড়ি, কোটপ্যাড হ্যান্ডলুম কাপড়, চম্বা রুমাল ও তুষার সিল্ক ব্যবহার করে খাদি কাপড় তৈরি করা হয়।

ভারতীয় কারূ তাঁত নকশাকার ও পদ্মশ্রী প্রাপক গজাম আনজাইয়া ইকাত প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে তেলিয়া রুমাল কৌশলের সাথে টাই-ডাই তাঁত পণ্যের উদ্ভাবন ও বিকাশের জন্য পরিচিত।

বর্ধমান শহরে উত্‍সব ময়দানে শুভ উদ্বোধন হলো খাদি গ্রামীণ শিল্প মহোত্‍সব ২০২৩।আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামানিক, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার সহ খাদির আধিকারিক বৃন্দ এবং বর্ধমান পৌরসভার এক ঝাঁক কাউন্সিলর।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জল প্রামানিক বলেন, আপনারা সাংবাদিক বন্ধুরা যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন আমার অনুরোধ তারা নিজস্ব পত্রিকায় এই খাদি মেলার প্রচার করুন। কারণ কিছু খেটে খাওয়া মানুষের রোজগার এর সাথে জড়িত আছে। এই মানুষগুলোর উদ্দেশ্যেই এই মেলা করা হয়েছে। খাদির কথা বললেই আমাদের মনে এক রকম শ্রীহরণ জেগে ওঠে। যার কথা বারবার মনে হয় তিনি হলেন আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী।

আরও পড়ুন ::

Back to top button