পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফে পথনাটিকার মাধ্যমে টি.বি রোগের সচেতনতার প্রচারে লোকশিল্পীরা
দীপন চ্যাটার্জী
সারিয়ে তোলা যে যায় না, এমনটা নয়! কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে যে তার পরেও পৃথিবী জুড়ে একটা বড় অংশ টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন এবং ধীরে ধীরে এগিয়ে যান মৃত্যুর দিকে। রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রতি দিনে ৪০০০ জনের মৃত্যু হয় এই মারণ ব্যাধির কবলে।
যক্ষ্মা বিভিন্ন প্রকারের ‘মাইকোব্যাকটেরিয়া’ সম্পর্কিত একটি রোগ যা ‘মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলেসিস’ দ্বারা ঘটে থাকে। যক্ষ্মা সাধারণত: ফুসফুসে ছড়ায়, তবে এটি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যক্ষ্মা-আক্রান্ত ব্যক্তির কফ, হাঁচি বা থুতু থেকে বাতাসের মধ্যে দিয়ে সহজে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
যক্ষ্মা একটি গুরুতর অসুখ হলেও সঠিক চিকিৎসার দ্বারা এর নিরাময় সম্ভব। ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (‘ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানিজেশন’)-র তথ্য অনুয়ায়ী ২০১১সালে সারা বিশ্বে সর্বমোট ৮.৭ লক্ষ যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ভারতবর্ষেই ছিল মোট ২.৩ লক্ষ যক্ষ্মা রোগী এবং সে হিসেবে ভারতবর্ষেই সবচেয়ে বেশী সংখ্যায় যক্ষ্মা আক্রান্ত মানুষের বাস।
আজ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ‘টিবি’নিয়ে সারাদিন সচেতনতা চালানো হয়।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফে লোক শিল্পীদের সাহায্য পথনাটিকার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রচার চালানো হয়। লোকশিল্পীরা প্রতিটি এলাকায় গিয়ে পথনাটিকার মাধ্যমে মানুষকে বোঝাচ্ছেন টিবি কেন হয়?,টিবি রোগের লক্ষণ,টিবি রোগ আসলে কি?,টিবি রোগ হলে কি করতে হবে।এর ফলে মানুষের মধ্যে টিবি নিয়ে যে সব ভ্রান্ত ধারণা আছে সেগুলি দূর হবে।
জামালপুর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলেন;পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফ থেকে এই প্রচার সাধারণ মানুষকে অনেক সচেতন করে তুলবে। মানুষ বুঝতে পারবেন টিবি আসলে কি। টিবি হলে মাস্ক পরে থাকুন। নিজেকে আইসোলেশনে রাখুন। ভাল হাওয়া-বাতাস খেলে এমন ঘরে থাকবেন। প্রতিনিয়ত ব্লাড সুগার চেক করা অত্যন্ত আবশ্যক। এসব ছাড়াও সঠিক চিকিৎসা এবং ঠিকমতো ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন।