বন্যপ্রাণ আইনে সংরক্ষিত তালিকায় থাকা একটি কচ্ছপকে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা দেবব্রত সেন।
দেবব্রত শহরের বাছুরডোবা এলাকার বাসিন্দা। কলকাতার শ্যামবাজারের একটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক তিনি।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দি কাছিম প্রজাতির ওই কচ্ছপটি বন্যপ্রাণ আইনে সংরক্ষিত। সোমবার ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলকিক্যাল পার্কে গিয়ে কচ্ছপটি জমা দেন দেবব্রত। জুলকিক্যাল পার্কের রেঞ্জ অফিসার অতুলপ্রসাদ দে এবং জু-সুপার জনার্দন ঘোষের উপস্থিতিতে চিড়িয়াখানার প্রাণী চিকিৎসক চন্দন বিশুই কচ্ছপটি গ্রহণ করেন।
জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের রেঞ্জ অফিসার অতুলপ্রসাদ দে বলেন, উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটি বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের সিডিউল ওয়ান তালিকায় রয়েছে। দেবব্রতবাবু সচেতনতার পরিচয় দিয়ে কচ্ছপটি চিড়িয়াখানায় জমা দিয়েছেন।
দেবব্রত জানান, শনিবার গভীর রাতে কুকুরের ডাকাডাকিতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখেন, বাড়ির উঠোনে কচ্ছপটি রয়েছে। সেটিকে উদ্ধার করে জলপূর্ণ পাত্রে রেখে দেন।
রবিবার সকালে কচ্ছপটিকে ভাত ও কুচো মাছও খেতে দেন। কচ্ছপটি খাবার খায়। রীতিমত সুস্থও দেখায় কচ্ছপটিকে।
এরপর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেটি তিনি জমা দিয়েছেন। দেবব্রত বলেন, আমাদের বাড়ির পুকুরটি ৭০ বছরের পুরনো।
মনে হয় সেখান থেকেই কচ্ছপটি আমাদের বাড়িতে চলে এসেছিল।