Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বর্ধমান

বিকল রেফ্রিজারেটর; রক্তের তীব্র সঙ্কট কাটোয়া মহুকুমা হাসপাতালে

বিকল রেফ্রিজারেটর; রক্তের তীব্র সঙ্কট কাটোয়া মহুকুমা হাসপাতালে

তীব্র গরমে এমনিতেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের আকাল থাকে। তার উপর ব্লাডব্যঙ্কের রেফ্রিজারেটরগুলি বিকল হয়ে পড়ে আছে । ফলে ব্লাডব্যঙ্কের ভাঁড়ার কার্যত শূণ্য । আজ কাটোয়া হাসপাতালে মাত্র ৩ ইউনিট রক্ত ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন রোগীর পরিবার পরিজন। অনেককে রক্তের জন্য তীব্র দাবদাহের মধ্যে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সহ সম্পাদক জয়দেব দত্ত বলেন,’কাটোয়া হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাড ব্যাঙ্কে বর্তমানে রক্ত শূন্য। ব্লাড ব্যাঙ্কের রেফ্রিজারেটরগুলি অকেজো হয়ে যাওয়ায় রক্ত মজুত রাখার ব্যবস্থা বর্তমানে নেই। রক্ত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকায় রক্তদান শিবির করাও যাচ্ছে না ।’

জানা গেছে,কাটোয়া হাসপাতালের ব্লাডব্যঙ্কে রক্ত মজুত করে রাখার জন্য চারটি রেফ্রিজারেটর রয়েছে। কিন্তু চারটিই এখন বিকল হয়ে পড়ে আছে । এছাড়া পাশের দুটি ঘরে আরও দুটি বাতানুকুল মেশিন রয়েছে। যার মধ্যে একটি ঘরে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা হয়, অন্য ঘরে রক্তগ্রহণ করা হয়। সেই দুটি ঘরের মেশিনও খারাপ। আর এই পরিস্থিতির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ি করেছেন এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের দাবি,সঠিক সময়ে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হত তাহলে বর্তমানে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না।

এই বিষয়ে কাটোয়া পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর রনজিত চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,’সরকার রোগীদের বিনামূল্যে রক্ত দেওয়ার কথা বলেছে। এদিকে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই। রক্তদান শিবির করেও কোনো লাভ নেই,কারণ এসি মেশিন গুলি বিকল থাকায় রক্ত মজুত রাখা সম্ভব নয়।”

এই বিষয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার সুপ্রিয় দত্ত বলেন,’ব্লাড ব্যাঙ্কের এসি মেশিনগুলি বেশকিছুদিন ধরেই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে । পূর্তদপ্তরের কাছে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি ।’ পূর্তদপ্তরের ইলেকট্রি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অর্ক দাস জানিয়েছেন, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাড ব্যাঙ্কে নতুন বাতানুকুল মেশিন আনার চেষ্টা চলছে ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button