প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি ঘেরাও ছাত্রদের! আন্দোলনকারীদের ‘ফাঁসে’ পা জড়াল ইউনূসের!

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, হাসিনার বিতর্কিত মন্তব্য, তারপর সরকারের পতন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দেশছাড়া। গত কয়েকমাসে বাংলাদেশ এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে, যা সাধারণের ধ্যান-ধারণার একেবারেই বাইরে ছিল। একটা ছাত্র আন্দোলন আন্দোলন গোটা সরকার বদলে দিতে পারে তা কেউই ভাবতে পারেনি বলেই মত একাংশের।

ইংরেজি প্রবাদে বলা হয়ে থাকে, হিসট্রি রিপিটস ইটসেলফ। সহজ বাংলায় বলতে গেলে, অতীত নিজেকে বারবার ফিরিয়ে আনে। যে হাসিনার সরকারের গলায় ‘ফাঁস’ হয়েছিল ছাত্র আন্দোলন। সেই ‘ফাঁস’ এবার গলায় জড়াল ইউনূসের।

উল্লেখ্য, ইউনূসের বাড়ি ঘেরাওয়ের আগে পথে বিক্ষোভে নামেন সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের একাংশ। চলে স্লোগান। চলে অবরোধ কর্মসূচি। পায়ে পায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির দিকে এগোতে থাকেন তারা। মাঝে ব্যারিকেড দিয়ে রুখে দেওয়ারও চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ পুলিশ। কিন্তু ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমে গুলি খেয়েছিল যারা, পঙ্গু হয়েছে যারা, তাদের কারোর খোঁজ রাখেনি ইউনূসের তদারকি সরকার। যাদের হাত ধরে সরকারের মাথায় বসলেন ইউনূস, শেষমেশ তাদের ভুলে গেলেন তিনি ?

এদিন প্রধান উপদেষ্টার ঢাকা বাড়ি ঘেরাও করল সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। রবিবার রাতভর চলল তাণ্ডব। নতুন করে ফাটল ধরল পড়শি দেশের অন্দরে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। কিন্তু পুলিশের মতো ব্যর্থ হন তিনিও। উল্টে আন্দোলনকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশটাকে সুন্দর ভাবে চালাতে সৎ উপদেষ্টা আনা হয়েছিল। কিন্তু তারা যে এত আমলা নির্ভর হয়ে উঠবে, তা ঠাওর করে উঠতে পারিনি।’ পাশাপাশি, তাঁর আরও মত, আহতদের নিয়ে দেশে রাজনীতি চলছে।