ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রামে করোনা পজিটিভ, তবুও কী সচেতন হচ্ছেন জেলাবাসী?

ঝাড়গ্রামে করোনা পজিটিভ, তবুও কী সচেতন হচ্ছেন জেলাবাসী? - West Bengal News 24

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলায় সরকারি ভাবে তিনজন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে সাধারণ মানুষ কতটা সচেতন হয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় এতদিন কোনো করোনা আক্রান্ত ছিল না বলেই দাবি করেছিল প্রশাসন। শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে করোনা পরীক্ষার যে রিপোর্ট এসে পৌঁছয়, তাতে দেখা যায় ঝাড়গ্রাম জেলার তিন জন করোনা আক্রান্ত। তার মধ্যে ঝাড়গ্রাম জুবিলি মার্কেটের এক দোকানের কর্মীও রয়েছেন। এর পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। জুবিলি মার্কেটের একটি এলাকা সিল করে দেয় পুলিশ।

ওই দোকান-কর্মী ছাড়াও ঝাড়গ্রামের এক গ্রামের ১৮ বছরের এক যুবক এবং জামবনির একটি গ্রামের তিন বছরের এক শিশুকন্যাও করোনাতে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। ওই তিনজনের অবশ্য উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ। তিনজনকেই পূর্ব মেদিনীপুরের মেচগ্রামের লেভেল থ্রি করোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের করোনা সংক্রান্ত জেলা ভিত্তিক তালিকায় ঝাড়গ্রাম জেলায় তিনজন করোনা পজিটিভ-এর তথ্য আপলোড করা হয়েছে।

ঝাড়গ্রামে করোনা পজিটিভ, তবুও কী সচেতন হচ্ছেন জেলাবাসী? - West Bengal News 24

তবে এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে, ‘গ্রীন জোন’ ঝাড়গ্রাম জেলায় এই পরিস্থিতি হল কীভাবে? কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফে ঝাড়গ্রাম জেলাকে ‘গ্রীন জোন’ অর্থাৎ করোনামুক্ত জেলা হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে। সেই পরিপেক্ষিতে লক ডাউনের মধ্যেও ঝাড়গ্রাম জেলায় বাড়তি কিছু পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ করোনা সম্পর্কে একেবারেই সচেতন নন।

রবিবার সকাল পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম শহরের মূল বাজারে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, দোকানে জিনিসপত্র কেনার জন্যে ঠেলাঠেলি, মাছের বাজারে, মাংসের দোকানে ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষিত লোকজন যদি এমন করেন, তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণ হবে কীভাবে?

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য