ঝাড়গ্রাম জুবিলি বাজার কালী মন্দির খুলেছে দু’সপ্তাহ আগেই
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: বাজারের মাঝে দেবী কালিকার অধিষ্ঠান। লকডাউনে ঝাড়গ্রাম শহরের জুবিলি বাজার বন্ধ থাকলেও দেবীর নিত্যপুজোয় ব্যাঘাত ঘটেনি। সোমবার থেকে রাজ্যে খুলছে ধর্মীয় স্থান। তবে জুবিলি বাজার কালী মন্দির খুলে গেছে দু’সপ্তাহ আগেই। মন্দিরের পুরোহিত মানব চক্রবর্তী জানালেন, দেবী দক্ষিণা কালীর এই মন্দির খুবই জাগ্রত। প্রচলিত বিশ্বাস, বাজারটির রক্ষাকর্ত্রী হলেন দেবী। ঝাড়গ্রাম শহরের জুবিলি বাজারের ঐতিহ্যবাহী এই কালী মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা লোকশ্রুতি। দু’বার বাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরেও ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দেবীর কৃপায়। এমনই মনে করেন অনেকে।
১৯৫৪ সালে বাজারের মধ্যে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঝাড়গ্রাম শহরের ভালুকখুলিয়া এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত সমাজসেবী হৃষীকেশ চক্রবর্তী। বাজারের এই মন্দিরটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন হৃষীকেশের উত্তরসূরিরা। মন্দিরের বর্তমান পূজারী হৃষীকেশের নাতি মানব চক্রবর্তী জানালেন, বাজারের এক মুদি দোকান কর্মীর করোনা ধরা পড়ায় বাজার সিল করে দিয়েছিল পুলিশ।
তবে সকালে একবেলা নিয়ম রক্ষার নিত্যপুজো হত। ১৯ মে বাজার খোলা হয়েছে। ওই দিন থেকে মন্দিরও খোলা হয়েছে। তবে দর্শনার্থীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাইরে থেকে দর্শন করছেন। মানববাবু বলেন, ‘‘সপ্তাহ দু’য়েক আগে বাজার খোলা হয়েছে। ওই দিন থেকে মন্দিরের দরজাও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে মন্দিরের ভিতরে অপরিসর জায়গায় অনেকে ঢুকলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সমস্যা হবে। সেই জন্য সোমবার থেকে এক জন করে পুজো দেওয়ার জন্য ঢুকতে পারবেন। যাঁরা পুজো দিতে আসবেন তাঁদের মাস্ক পরে আসতে হবে।”