ঝাড়গ্রাম

সাতবাঁকি গ্রামে মৃত হাতিদের শোকে অরন্ধন, বন্ধ চাষের কাজ

সাতবাঁকি গ্রামে মৃত হাতিদের শোকে অরন্ধন, বন্ধ চাষের কাজ - West Bengal News 24

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: হাতিদের মৃত্যুর বর্ষপূর্তির দিনটি শোকদিবস হিসেবে পালন করলেন ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুরের সাতবাঁকি গ্রামের বাসিন্দারা।

শুক্রবার সাতবাঁকি গ্রামে হাতির দু’টি থানে হল পূজা-পাঠ। গামার গাছের চারা রোপণ করা হল। সেই সঙ্গে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় গ্রামবাসীদের সচেতন করে বিলি করা হল মাস্ক। তবে করোনা পরিস্থিতিতর জন্য গত বারের মতো দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসতে পারেননি। তবে সাঁতবাঁকি ও লাগোয়া এলাকার মানুষজন এসেছিলেন হাতির থানে পুজো দিতে। সাতবাঁকির উদ্যোক্তাদের অন্যতম তমাল মাহাতো জানালেন, জঙ্গলমহলের মূলাবাসীরা হাতিকে দেবতা মানেন।

সাতবাঁকি গ্রামে মৃত হাতিদের শোকে অরন্ধন, বন্ধ চাষের কাজ - West Bengal News 24

এদিন হাতিদের মৃত্যুর বর্ষপূর্তিতে শোকদিবস পালন করেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামে অরন্ধন পালিত হয়। কেউ জমিতে এদিন চাষ করতেও যাননি। তমাল বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ও বন দপ্তরের কাছে হাতিদের মূর্তি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সাড়া মেলেনি। তবে একটি বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তিনটি হাতির মূর্তি গ্রামে স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী দিনে ওই সংস্থার সহযোগিতায় গ্রামে হাতির মূর্তি বসবে।’’

গত বছর ১০ জুলাই রাতে দলমার পরিযায়ী হাতির দল এলাকা পার হওয়ার সময় মাঠে ঝুলে থাকা হাইটেনশন লাইনের ছোঁয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় পূর্ণবয়স্ক তিনটি হাতির। মৃত দু’টি স্ত্রী হাতির ময়নাতদন্তে তাদের গর্ভে মেলে আরও দু’টি মৃত শাবকও। সব মিলিয়ে দুই শাবক সহ পাঁচটি হাতির মৃত্যুতে সাতবাঁকির বাসিন্দারা সমবেত সিদ্ধান্ত নিয়ে গত বছর হাতিদের পারলৌকিক ক্রিয়া ও স্মরণ অনুষ্ঠান করেছিলেন। যেখানে হাতিদের মৃত্যু হয়েছিল, সেই জমিতে ছোট বেদী করে পোড়া মাটির তিনটি ছোট হাতির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল গত বছর। গ্রামের মাথায় আর একটি বেদী করে পাঁচটি পোড়া মাটির মূর্তি রাখা হয়েছে মৃত হাতিদের স্মরণে।

সবাই বলছেন, হাতিদের মৃত্যুর পরে অখ্যাত গ্রাম সাতবাঁকি এখন বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য