ঝাড়গ্রাম: আমন্ত্রণ না পেলেও বুধবার ঝাড়গ্রামে রাজ্যস্তরের জঙ্গলমহল উৎসবে এসে কাটমানি প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের শাসকদলের কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। তিনি চলে যাওয়ার পরে উৎসবের উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বিদ্যালয়ের মাঠে সপ্তম বর্ষ জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন করে পার্থবাবু বলেন, “জঙ্গলমহলে এখন শান্তি আর উন্নয়ন। এলাকার মানুষেরাই এই পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” জঙ্গলমহল উন্নয়নে বদলে যাওয়ায় এখন পর্যটকেরা এখানে আসছেন বলে জানান পার্থবাবু। এদিন অবশ্য শুরুতে অনুষ্ঠানের তাল কাটে আচমকা উৎসব প্রাঙ্গণে বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম চলে আসায়। বিকেল তিনটা নাগাদ মাঠে আসেন সাংসদ। সাধারণ দর্শকের চেয়ারে আধঘন্টা বসে থাকেন। উৎসবের আয়োজক পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকরা তাঁকে মঞ্চে ডাকেননি। এমনকি তাঁকে দর্শক আসনের ভিআইপি চেয়ারেও বসতে বলেননি কেউ।
আরও পড়ুন : স্বর্ণযুগের সুর ফেরার স্বপ্ন দেখেন কৌশিক
সাংসদকে দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যান তৃণমূলের নেতা-জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আধঘন্টার বেশি সময় দর্শকের আসনে বসে ছিলেন সাংসদ। সংবাদমাধ্যমের কাছে কুনারবাবু অভিযোগ করেন, “আমি সাংসদ। জনপ্রতিনিধি। আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। নিজের এলাকায় কেমন উৎসব হচ্ছে দেখতে এলাম। কিন্তু আমার প্রতি সামান্য সৌজন্য দেখানো হল না।”
সাংসদের অভিযোগ, “তৃণমূলের নেতাদের কাটমানি পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই বিপুল টাকার উৎসব হচ্ছে, অথচ এখনো অনেক এলাকায় রাস্তা নেই। পানীয় জল নেই। সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলের ভবন নেই।” সাড়ে তিনটার পরে চলে যাওয়ার সময় সাংসদ হেসে বলেন, “আমি থাকায় মন্ত্রী আসতে পারছেন না। তাই চলে যাচ্ছি।” কুনারবাবু চলে যাওয়ার পরে উৎসবের উদ্বোধন করতে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। কুনারবাবুর অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে পার্থবাবু বলেন, “আমি আয়োজক নই।”