ঝাড়গ্রাম: বিয়ের ঠিক ছিল আগে থেকে। কিন্তু বাদ সেধেছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে মন্দিরে খুবই সাদামাঠা ভাবে বিয়ে করলেন তরুণ-যুগল। শুধু তাই নয়। শনিবার বৌভাতের অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করলেন নবদম্পতি। দিলেন করোনা সচেতনতার পাঠ।
ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া ব্লকের চর্চিতা গ্রামের বছর সাতাশের সুব্রত দত্ত ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার বড়শোল থানার চান্দ্রা গ্রামের পূজা পিরির চার হাত হল শুক্রবার। করোনা আবহে ঝাড়খণ্ডে এখন লকডাউন চলছে। তাই পূজাকে নিয়ে কনেপক্ষের হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য শুক্রবার চলে আসেন গোপীবল্লভপুরের কুঠিঘাট কালী মন্দিরে। সেখানে অল্প সংখ্যক আত্মীয়-পরিজন নিয়ে পৌঁছন সুব্রত। সেখানেই তাঁদের বিয়ে হয়।
শনিবার চর্চিতা গ্রামে সুব্রতর বাড়িতে ছিল আনুষ্ঠানিক বৌভাতের আয়োজন। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা জারি হওয়ায় নিয়মরক্ষার আয়োজন করা হয়। নববধূকে দেখতে আসা গ্রামবাসীদের হাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেন পূজা ও সুব্রত।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবেদন করেন নবদম্পতি। ভূগোলের গৃহশিক্ষক সুব্রত একটি কোচিং সেন্টার চালান। পূজা একটি বেসরকারি নার্সারি স্কুলের শিক্ষিকা।
সম্বন্ধ করেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। দু’জনেই বলছেন, “এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দায়িত্বপালন খুবই জরুরি। আমরা সেটাই করেছি।” পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছর সাড়ম্বরে বিবাহবার্ষিকী পালন করার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানালেন পূজা ও সুব্রত।