নজরে চা বলয়। তাই গত বছরেই চা শ্রমিকদের সম্মেলনে সভা করে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banearjee)। গত জুলাই মাসেই তিনি সভা করেছিলেন ধূপগুড়িতে। মালবাজারে চা-বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে তিনি সভা করেন ৷ পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে তাঁর জলপাইগুড়ি জেলা সফর, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ভোট প্রচারের প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছে।
তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সূত্রে খবর, দলের শ্রমিক সংগঠনকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banearjee)আগামী দিনে ফের চা শ্রমিকদের সমাবেশ করবেন। উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে বিজেপির শক্তি রয়েছে মূলত শ্রমিকদের মধ্যে সংগঠনকে ঘিরেই।
তাই নতুনভাবে গঠিত তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) চা–বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে গত ১০ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়িতে সমাবেশ করার টার্গেট নিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি চা-শ্রমিকদের জন্য নানা ইস্যুকে তুলে ধরেছিলেন।
উল্লেখ্য, শ্রমিক সংগঠনকে সামনে রেখে দক্ষিণবঙ্গের হলদিয়ায় একটি সমাবেশ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banearjee)। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির মোট ১৬৬টি চা–বাগানে গেট মিটিং শুরু হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বকে এখানে বিনা নোটিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্রমিকদের স্বার্থে লাগাতার গেট মিটিং কর্মসূচি চালাতে বলা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির মালবাজারে চা বাগান সংগঠনের সম্মেলন হয়। সেখানেও চা-শ্রমিকদের জন্য নানা সুবিধার কথা বলেছিলেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর মালবাজার ন্যাশনাল ক্লাব ময়দানে হয় প্রকাশ্য সমাবেশ। ওই সমাবেশের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banearjee)। সেখান থেকেই বন্ধ চা–বাগান খোলা, অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা খাতে অসম ও বাংলার জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা না পাওয়া, শ্রমিকদের পিএফ এবং আধার সংযোগের জন্য পরিকাঠামোর অভাব–সহ নানা বিষয়ে অভিষেক সরব হয়েছিলেন তিনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের চা সুন্দরী প্রকল্প, বিনামূল্যে রেশন–সহ নানা উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন অভিষেক (Abhishek Banearjee)।