জাতীয়

বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আর ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে না, জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আর ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে না, জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত

বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আর ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে না। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ছয় মাসের বাধ্যতামূলক অপেক্ষার মেয়াদ বাতিল করা যেতে পারে৷ কিন্তু অবশ্যই থাকবে বিশেষ কিছু শর্তাবলি৷ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশে জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Suprime Court)৷ কিন্তু কী সেই শর্ত , কী বলছে আইন ?

বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল , সঞ্জীব খান্না , এএস ওকা , বিক্রম নাথ এবং জে কে মহেশ্বরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি সংবিধান বেঞ্চ জানিয়েছে , “আমরা এক্ষেত্রে, বিশেষ কিছু পরিস্থিতি বা কারণকে নির্বাচন করেছি৷ একমাত্র যে সমস্ত ক্ষেত্রে কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে অপূরণীয় ভাঙনের পরিস্থিতি তৈরি হবে, সেখানেই এই বিশেষ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।” ভারসাম্য বজায় রাখা , রক্ষণাবেক্ষণ, ভরণপোষণ এবং শিশুদের অধিকারের বিষয়ে বিশেষ ভাবনচিন্তা করা হয়েছে।

সোমবার সংবিধানের ১৪২ ধারা অনুযায়ী , সুপ্রিম কোর্ট (Suprime Court) ক্ষমতার বিশেষ প্রয়োগ করে রায় দিল, ডিভোর্সের মামলায় যেখানে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া একেবারেই আর সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে। এক্ষেত্রে বিবাহ আইন অনুযায়ী প্রথমে ফ্যামিলি কোর্টে আবেদন করার পরে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে উল্লেখ করা মূল সমস্যাটি ছিল হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩ বি ধারার অধীনে নির্ধারিত পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য বাধ্যতামূলক অপেক্ষার মেয়াদ মকুব করা যায় কি না। শুনানির সময় , সাংবিধানিক বেঞ্চ অপূরণীয় ভাঙ্গনের ভিত্তিতে বিবাহ ভেঙে দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইনি বিশেষজ্ঞেরা বলছে, সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে মূলত ছিল দুটি প্রশ্ন : ১৪২ ধারার অধীনে প্রাপ্ত এই বিশেষ ক্ষমতা অনুশীলন সুপ্রিম কোর্টের (Suprime Court) সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত কি না, নাকি এই ধরনের বিশেষ ক্ষমতার অনুশীলন বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হবে।

প্রশ্নটি ছিল হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩ (বি) ধারায় উল্লেখিত বাধ্যতামূলক অপেক্ষার সময়কাল মেনে চলার জন্য পারিবারিক আদালতে নির্দেশ না দিয়ে ইচ্ছুক পক্ষের মধ্যে বিবাহ ভেঙে দেওয়ার জন্য সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনস্থ কর্তৃত্বের ব্যবহার করার জন্য সাধারণ নির্দেশিকা সম্পর্কিত। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরই এই মামলার শুনানি শেষ হয়৷

আরও পড়ুন ::

Back to top button