Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
ঝাড়গ্রাম

আধার কার্ড না থাকায় নানা পরীক্ষায় বসতে পারেননি, টেট উত্তীর্ণ হয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলেন, অবশেষে মিললো আধার কার্ড

আধার কার্ড না থাকায় নানা পরীক্ষায় বসতে পারেননি, টেট উত্তীর্ণ হয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলেন, অবশেষে মিললো আধার কার্ড

জন্মান্ধ বলে মেলেনি আধার কার্ড। ফলে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগোতে গিয়েও বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে দীর্ঘ লড়াই পেরিয়ে হাতে পেলেন আঁধার কার্ড। ঘুচলো আর এক আঁধার।

ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার নেতাই এলাকার জমাশোল গ্রামে বাড়ি সুখেন মাহাতোর। জন্ম থেকেই অন্ধ তিনি। তাই ২৯ বছরে এসেও নানা জটিলতায় আধার কার্ড পাননি। অথচ, প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পর শালবনি কলেজে সোসিওলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি।

ইতিমধ্যেই পাশ করেছেন টেট পরীক্ষাও। ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। এবার পালা ইন্টারভিউ এর। কিন্তু আধার কার্ড না থাকলে তো বিপদ। এখন তো সব কিছুতেই আধার কার্ড লাগবে। পাশ করার পর ইন্টারভিউতে কৃতকার্য হলে কেবলমাত্র আধার কার্ড না থাকার জন্যও চাকরি হাতছাড়া হতে পারে! সেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি।

অবশেষে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবার কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে আধার কার্ড তৈরি হলো ২৯ বছরের জন্মান্ধ সুখেন মাহাতোর। সুখেন বলেন, “আমি জন্মান্ধ। চোখে দেখতে পাই না। বিভিন্ন কারণবশত আমার আধার কার্ড তৈরি হয়নি। যার জন্য রেলের গ্রুপ-ডির পরীক্ষাগুলো আমি দিতে পারিনি।

২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। কয়েকদিনের মধ্যে ইন্টারভিউ রয়েছে। আমার আধার কার্ড না থাকায় আমি খুব চিন্তায় ছিলাম। আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমি আধার কার্ড পেয়েছি বিনামূল্য। ওনাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ”। এমনিতেই গরিব পরিবারে জন্ম সুখেনের। সুখেনের বাবা স্বপন মাহাতো দিনমজুরের কাজ করেন। কিন্তু ছেলের আগ্রহ থাকায় সংসারে অনটন সত্ত্বেও পড়াশোনায় সাহায্য করেন। কিন্তু আধার কার্ডের জন্যন নানা সরকারি সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন সুখেন। এবার সেই সমস্যা মিটলো।

আরও পড়ুন ::

Back to top button