রাজ্য

অনুব্রতর রাধুনী বিজয় রজক, অ্যাকাউন্ট খুলেও লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন – দাবি ইডির

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

অনুব্রতর রাধুনী বিজয় রজক, অ্যাকাউন্ট খুলেও লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন - দাবি ইডির

কয়েকদিন আগেই গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। অভিযু্ক্ত হিসাবে তিন জনেরই নাম রয়েছে চার্জশিটে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতের (Anubrta Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিরও। তারই সঙ্গে গরু পাচারের টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত মানুষের নাম উঠে এসেছে।

ইডির (Enforcement Directorate) দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের লোকেদের পাশাপাশি তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মী, বাড়ির পরিচারক, রাঁধুনি, এমনকী কেষ্টর গা-হাত-পা টিপতে ডাকা বিজয় রজকের নামে অ্যাকাউন্ট খুলেও লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তবে বিজয় রজক এ সম্পর্কে কিছু জানেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইডির দাবি, বাড়ির পরিচারকের নামে কেনা হয়েছিল ৭.৭১ কোটি টাকার জমি।

এককালে কাজ করতেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrta Mondal) বাড়ির পরিচারক হিসেবে। কেষ্টর বাড়ির হেঁশেল সামলানোর দায়িত্ব ছিল যাঁর কাঁধে, তাঁর ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার হিসেব পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির (Enforcement Directorate) চার্জশিটে রয়েছে ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেডের কথাও। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন অনুব্রত। সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুকন্যা। ভোলেব্যোম রাইস মিলের অংশীদারও ছিলেন তিনি।

ইডি জানতে পেরেছে যে, গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের যে বড় বড় লাভ হত, সেগুলির বিষয়ে সমস্ত কিছুই জানতেন মণীশ কোঠারি। তিনিই অনুব্রতকে বুদ্ধি দিতেন এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোন কোন খাতে লগ্নি করলে কালো টাকা সাদা করা যাবে। সেই খাত হিসেবেই একাধিক সময়ে অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক, রাঁধুনি, এমনকী মালিশ করতে আসা বিজয় রজকের অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button