সুইমিং শিখতে এসে মৃত্যু ঘটল এক ব্যাক্তির
বর্ধমানের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা কাইম মন্ডল। গত এক বছর ধরে বর্ধমান শহরের কল্পতরু সুইমিংপুলে সুইমিং শিখতো। প্রতিদিনের মতো আজও সকালে সে সুইমিং শিখতে আসে। তারপরে তার শারীরিক অবনতি হয় সেখান থেকে তাকে বর্ধমান হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।যদিও কাইম মন্ডলের এক আত্মীয় বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন সুইমিংপুলের মালিক এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
কল্পতরু সুইমিংপুলের জয়েন্ট সেক্রেটারি সৌগত হালদার বলেন, কাইম মন্ডল এই ছেলেটি আমাদের এখানে সুইমিং শিখতো। প্রতিদিনের মতো আজও সে সুইমিং শিখতে আসে। গত এক বছর সে আমাদের এখানে সুইমিং শিখছে। সুইমিং শিখতে শিখতে হঠাত্ই তার শারীরিক অবনতি হয় আমরা তখন আর ছুটে যাই এবং তাকে জল থেকে তুলে নিয়ে আসি।
জলে ডুবে কিছুতেই মৃত্যু হতে কারন আমাদের এখানে তিন থেকে চার ফুট জলের লেভেল ছেলেটি প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা ছিল। আমরা তত্ক্ষণাত্ শারীরিক অবনতি হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
মৃত কাইম মন্ডল এর আত্মীয় শেখ জাকির হোসেন বলেন , আমরা আজ সকালে আটটা নাগাদ খবর পাই যে আমাদের ছেলের শারীরিক অবনতি কি হয়েছে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের এমারজেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা যখন বর্ধমান হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছায় তখন সেখানে কেউ ছিলনা ডাক্তার ওরা বলেন আমাদের ছেলে মৃত্যু হয়েছে। তারপরই আমরা বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং উপযুক্ত শাস্তি যেন দেওয়া হয়।