বাংলা দিবস ও রাজ্যসঙ্গীত প্রস্তাব পাসের ঐতিহাসিক দিনে বিধানসভার অধিবেশন দেখার সুযোগ পেল ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৩৬ জন ছাত্র।
বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার সৌজন্যে ওই স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিধানসভা অধিবেশন দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মন্ত্রী বাতানুকুল বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় সেই বাসে চেপে ঝাড়গ্রাম থেকে রওনা দেয় পড়ুয়ারা। ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত সহ ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।
সকাল সাড়ে দশটায় তারা বিধানসভার এক নম্বর গেটে পৌঁছন। এরপর তাদের বিধানসভার অধিবেশন দেখার জন্য দোতলার গ্যালারিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রথমার্ধ্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব দেখার পর দ্বিতীয়ার্ধ্বে রাজ্য দিবস ও রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে তৃণমূলের আনা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীপক্ষ তুমুল হইহট্টগোল শুরু করে দেয়। তবে ১৬৭-৬২ ভোটে বাংলা দিবস ১লা বৈশাখ এবং বাংলার মাটি বাংলার জল রাজ্যসঙ্গীত সরকারপক্ষের আনা এই দু’টি প্রস্তাব পাস হয়ে যায়।
একাদশ শ্রেণির অন্বয় মাহাতো, সাগ্নিক পালের কথায়, ‘‘ঐতিহাসিক দিনে বিধানসভার অধিবেশন দেখার সুযোগ পেলাম।’’ কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘মন্ত্রী ম্যাডাম বাতানুকল বাসের ব্যবস্থা করে দেন। বিধানসভায় সুষ্ঠুভাবে দু’টি পর্বে অধিবেশন দেখা সুযোগ পেয়েছে পড়ুয়ারা। স্পিকারের সঙ্গে আলাপও করিয়ে দেন বিরবাহা ম্যাডাম।
যে সব ছাত্রের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় রয়েছে, তারা স্বচক্ষে অধিবেশন দেখে একটা ধারণা পাবে। এছাড়া এদিন পড়ুয়ারা যে ধারণা পেল, তাতে স্কুল সংসদ করার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।’’