আধুনিকতায় চাহিদা কমলেও ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে মাটির প্রদীপ গড়েন বেড়াগাড়ির মৃৎশিল্পীরা
স্বপ্নীল মজুমদার
দুর্গা পুজো পুজো শেষ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে দীপাবলির প্রস্তুতি। তাই এখন ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরাও। ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের বেড়াগাড়ি গ্রামের ২৪টি পরিবার মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ করেন।
এখন বাজারে হরেক রকম ইলেকট্রিকের প্রদীপ, চিনা বাতি, রাইস লাইট। তা সত্ত্বেও গ্রামীণ এলাকায় সনাতন মাটির প্রদীপের চাহিদা এখনও রয়েছে। আগের তুলনায় অবশ্য শহরাঞ্চলে মাটির প্রদীপের চাহিদা অনেকটাই কমেছে। তার উপর মাটির দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা।
বেড়াগাড়ির মৃৎশিল্পী রঞ্জিত দাস বলেন, ভালো মানের মাটি পেতে সমস্যা হচ্ছে। বিকল্প প্রদীপের সঙ্গে প্রতিযোগিতার কারণে মাটির প্রদীপের ডিজাইনে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা রাজ্যে মাটির প্রদীপের এখনও চাহিদা আছে। মাটির দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন একটি প্রদীপের পাইকারি দাম এক টাকা থেকে দু’টাকা।
মৃৎশিল্পী নিরঞ্জন দাস বলেন, সারা বছর মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে আমাদের সংসার চলে। দীপাবলি এলে মূলত প্রদীপ তৈরি করা হয়। এক টাকার ছোট প্রদীপ থেকে তিরিশ টাকার বড় প্রদীপের এখনও চাহিদা আছে।
ইলেকট্রিক ও ইলেট্রনিকেরদীপ, চিনা বাতি, রাইস লাইট আমাদের বাজার অনেকটাই নষ্ট করে দিয়েছে। তাও পুরনো ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।