কয়েকটি সেটিং বদল করেই Jio র ইন্টারনেট স্পিড ৩ গুণ বাড়িয়ে নিন
ভারতের টেলিকম বাজারে জিও বিপ্লব এনেছে একথা অনস্বীকার্য। এই বিপ্লবের ফলে অন্যান্য বিভিন্ন মোবাইল সংস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে ভারতের বেশিরভাগ মোবাইল গ্রাহক ঝুঁকেছে জিওর দিকে। তার ফলে দিনের পর দিন কম খরচে বেশি সুবিধা পেতে এই জিও মোবাইল সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যান্য মোবাইল সংস্থাগুলিও জিওর মতোই স্বল্পমূল্যে বেশি সুবিধা বাজারে এনেছে।
দিনের পর দিন জিওর গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে চলায় গ্রাহকদের মধ্যে বারবার একটাই অভিযোগ উঠে আসছে, দিন দিন নাকি জিও ইন্টারনেটের স্পিড কমে যাচ্ছে! তবে এই ইন্টারনেটের স্পিড চার গুণ বাড়ানো সম্ভব যদি কতগুলি সেটিংসে পরিবর্তন করা হয়। আমরা নিজে হাতে পরীক্ষা করে সুফলতা পেয়েছি, আশা করি আপনাদের ক্ষেত্রেও স্পিডের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পরিবর্তন উপলব্ধি করবেন।
সেটিংস পরিবর্তন করার আগে আমরা গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্টারনেটের স্পিড দেখার জন্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করি। যার নাম, ‘Speed test by ookla’.
কোনরকম সেটিং পরিবর্তনের আগে সেখানে দেখা যায় আমাদের মোবাইল ফোনটিতে জিও কানেকশনে ইন্টারনেট স্পিড ছিল, ৫.৬৯ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড এবং ৩.২১ এমবিপিএস আপলোড স্পিড।
আর সেটিংস পরিবর্তন করার পর একই জায়গায়, একই মোবাইল হ্যান্ডসেটে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সেই স্পিড দাঁড়ায় ২০.৪ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড এবং ৩.০৬ এমবিপিএস আপলোড স্পিড। উল্লেখযোগ্য এই স্পিডের পরিবর্তন অবশ্যই স্থান বিশেষে আলাদা আলাদা হতে পারে।
কীভাবে বাড়বে স্পীড?
প্রথমেই আপনার মোবাইলের সেটিংসে যেতে হবে। সেখানে Network & Internet অপশনে যাবেন। সেখানে Mobile Network এ প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন Mobile Data, Roaming ইত্যাদি নানান অপশন রয়েছে, যেখানেই থাকবে APN (access point name). এখন আপনাকে যা পরিবর্তন করতে হবে সব এখানেই। কোনোরকম ঘাবড়াবেন না, কারন কোথাও কোনো ভুল হলেও কিছু না হারিয়েই Reset করার সুযোগ আছে।
Jio গ্রাহকদের ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর জন্য, তাই APN এ প্রবেশ করে পর পর এই সেটিংসগুলি পরিবর্তন করুন। (বি:দ্র: – যেমন আমরা দেখাচ্ছি ঠিক তেমনই করবেন।)
NAME – Jio 4g
APN – jionet
Proxy – not set
Port – not set
Username – not set
Password – not set
Server – not set
MMSC -not set
MMS proxy – not set
MMS port – not set
MCC – 405
MNC – 840
এগুলি মোটামুটি সকলেরই একই থাকবে। তবে এবার একটু ভালো নজর দেবেন।
Authentication type – PAP or CHAP
APN type – Default
APN protocol – IPv4/IPv6
APN Roming Protocol – IPv4/IPv6
Bearer – LTE
আর কিছু করার দরকার নেই। এরপর ঝট করে মোবাইল ফোনটি সুইচ অফ করে অন করে নিন। কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন, আশা করি সফলতা পাবেন হাতেনাতে। তবে হ্যাঁ, এই সেটিংসগুলি যদিও কারোর আগেই উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী করা থাকে তাহলে ইন্টারনেট স্পিডের পরিবর্তনের কোনো আশা নেই।
আমরা পুরো বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছি। যদি এই সেটিংসগুলি পরিবর্তনের পর ইন্টারনেট স্পিড বেড়ে থাকে, কমেন্ট করে আমাদের জানান। যদি কোনরকম সুফলতা না পাওয়া যায় সেটাও জানাবেন।
সুত্র : ichorepaka.in