ঝাড়গ্রাম

জামবনির জননেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে শান্তিরক্ষার আবেদন

জামবনির জননেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে শান্তিরক্ষার আবেদন

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: জামবনির জননেতা সৌমেন ভকতের স্মরণসভায় উঠল অশুভ-শক্তি রোখার আহ্বান। জঙ্গলমহলের শান্তিকে চোখের মণির মতো রক্ষা করার আবেদন জানালেন ব্লক তৃণমূলের নেতৃত্ব। রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের ভাতুড় গ্রামে সৌমেন ও তাঁর সঙ্গী কমল মাহাতোর প্রয়াণের দশ বছর উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করা হল।

এদিন কেন্দডাংরি অঞ্চল তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জামবনি ব্লক তৃণমূলের পর্যবেক্ষক প্রসূন ষড়ঙ্গী, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নিশীথ মাহাতো, সৌমেনের ভাই সমাজসেবী স্নেহাশিস ভকত, জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুতুল শীট, কেন্দডাংরি অঞ্চল তৃণমূলের নেতৃত্ব। ২০১০ সালের ১২ জুলাই কেন্দডাংরি পঞ্চায়েতের নির্দল প্রধান সৌমেন ভকত ও তাঁর সঙ্গী কমল মাহাতো এলাকার একটি রাস্তা পরিদর্শন করতে গিয়ে মাওবাদীদের হাতে অপহৃত হন।

আরও পড়ুন : কেন্দ্র-বিরোধী যুব তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলে রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পের প্রচার

পরে দু’জনের দেহ পাওয়া হয় রাস্তায়। মাওবাদীরা সৌমেন ও কমলকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, সৌমেন ছিলেন এলাকার জনপ্রিয় জননেতা। নির্দল প্রধান হিসেবে এলাকায় মানুষের পাশে থাকতেন তিনি। তাঁর কারণে ওই সময়ে মাওবাদীরা এলাকায় ঢুকতে পারছিল না। সৌমেনকে হত্যা করার পরে এলাকার দখল নিয়েছিল মাওবাদীরা। কিন্তু মাওবাদীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল জনরোষ।

আরও পড়ুন : সমবায় ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ, প্রতিবাদে তৃণমূল

গঠিত হয়েছিল জনজারগণ মঞ্চ। মঞ্চের বাধায় এলাকা থেকে পিছু হটেছিল মাওবাদীরা। সেই সময়ে জনজাগরণ মঞ্চের নেতা নিশীথ মাহাতো এখন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি। এদিন ভাতুড় মোড়ে সৌমনের আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলের নেতৃত্ব ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় শোক মিছিল করা হয়। পরে স্মরণসভায় সৌমেনের স্মৃতিচারণ করেন সকলে। তাঁরা বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের পাশে থাকার জন্য উন্নয়ন-বিরোধী শক্তি সৌমেন ও কমলকে হত্যা করেছিল। তাই জঙ্গলমহলের শান্তিকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে সদাজাগ্রত থাকতে হবে। উন্নয়ন-বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button