ঝাড়গ্রাম

বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফোন ট্যাপ করছে পুলিশ, অভিযোগ করলেন সায়ন্তন বসু

বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফোন ট্যাপ করছে পুলিশ, অভিযোগ করলেন সায়ন্তন বসু

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ঝাড়গ্রামে বিজেপি-র বড় মিছিল আটকে দিল পুলিশ। শনিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের কার্যালয়ে বিজেপি-র বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল।

কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জেলা বিজেপি-র সভাপতি সুখময় শতপথী, ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ, সঞ্জিত মাহাতো সহ বিজেপি-র জেলা ও ঝাড়গ্রাম শহরের বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীরা। বড় মিছিল করে শহরের মেন রোড ধরে মিছিলটি এসে পৌঁছনোর আগেই পাঁচ মাথা মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড করে দেয়। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জেলা পুলিশের পদস্থ অফিসারেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দুপুর সোয়া বারোটা মিছিল এসে পৌঁছলে আটকে দেয় পুলিশ। মিছিলটিকে জেলাশাসকের কার্যালয়ের দিকে যেতে দেওয়া হয়নি। মিছিল আটকে পড়ায় সেখানে সবার উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন সায়ন্তনবাবু, সুখময়বাবু ও কুনারবাবু। সায়ন্তনবাবু অভিযোগ করেন, রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আর এখানে তৃণমূলের পুলিশ-প্রশাসন মাওবাদীদের সাহায্য নিয়ে বিজেপি কর্মীদের খুনের পরিকল্পনা করছে।

[ আরও পড়ুন : ক্ষমতায় এলে বদলে দেব সব, চায়ের চর্চায় আশ্বাস দিলীপের ]

তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের ফোন ট্যাপ করছে পুলিশ। তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘আপনাদের ফোনও ট্যাপ করার ক্ষমতা বিজেপি-র রয়েছে। কোন কোন নেতার নির্দেশে প্রশাসনের আধিকারিক কী-কী কাজ করছেন, আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যথা সময়ে প্রমাণ পেশ করব।’’ সাংসদ কুনারবাবুর তহবিলের টাকায় উন্নয়নের কাজে গড়িমসির অভিযোগে প্রশাসনের সমালোচনা করেন তিনি।

তবে এদিন বিজেপি-র বড় জমায়েত কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে পুরসভা ও দমকলের উদ্যোগে পাঁচ মাথা মোড় থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়। তবে এদিন বিজেপি-র এই কর্মসূচিতে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button