করোনা নিয়ন্ত্রণে সৌদিতে শতশত অভিবাসী আটক
গায়ে অন্য কোন কাপড় নেই শুধু হাফপ্যান্ট পরিহিত অবস্থায় ছোট ছোট কক্ষে অনেক মানুষ গাদাগাদি করে শুয়ে আছে। কারো পিঠে আবার নির্যাতনের চিহ্ন। মরুভূমির উতপ্ত গরমে ঘর্মাক্ত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আটকে রাখা হয়েছে যাতে কোভিড ছড়িয়ে না পড়ে। যারা গরমের কারণে হার্টএ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন কিংবা আত্মহত্যা করছে তাদের লাশ রাখা হচ্ছে পাশের কামড়ায়। এ দুর্দশার ছবি নিয়ে প্রতিবেদন করেছে ডেইলি মেইল।
আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন তাদের সঙ্গে জীবজন্তুর মত আচরণ করা হচ্ছে। গরমে গায়ে ফোস্কা পড়ে যায়। এর উপর চলে চাবুক ও দোররা মারা হয়। কোভিড প্রাদুর্ভাব শুরু হলে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নির্বাসন দেয়া হয়। তাদের অনেককে আটক করা হয়।
সানডে টেলিগ্রাফে তাদের ফাঁস হয়ে যাওয়া ছবি প্রকাশ করে। এদের অধিকাংশ আফ্রিকার নাগরিক। খাদ্য ও পানির অভাবে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়। ‘হিট স্ট্রোকে’ মারা যাওয়ার পর একজনের লাশ কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে জীবিতদের পাশেই।
আরও পড়ুন : ‘ট্রাম্প সহিংসতা থামাতে পারবে না’
ইথোপিয়ার নাগরিক আবিবি বলেন, ‘এটা নরক, প্রতিদিন আমাদের মারধর করা হয়। আমার একমাত্র অপরাধ ভাল জীবনের আশায় দেশ ছেড়ে এদেশে এসেছি। কিন্তু তারা এমনভাবে চাবুক ও বৈদ্যুতিক তার দিয়ে মারছে যেন আমরা খুন করেছি।’
আরেকজন বলেন আমরা মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করছি। কোনো চিকিৎসা নেই, টয়লেট খালি পাওয়া যায় না। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে তেল সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবের কাছে এ ধরনের নির্যাতন আশা করা যায় না। মক্কার কাছে আল শুমাইসি ও ইয়েমেন সীমান্ডে জাজানে এমন দুটি আটক কেন্দ্র রয়েছে।
করোনার শুরুতেই দেশটিতে হাজারো অভিবাসীকে আটক করে ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি করা হয়েছিল। জাতিসংঘের তথ্যমতে, সৌদি ২ লাখ ইথিওপিয়ান নাগরিককে দেশে পাঠিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়ায় করছে।
উল্লেখ্য, দেশটিতে ১ কোটি ২০ লাখ অভিবাসী শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। যাদের দুই-তৃতীংশ পবলিক সেক্টরে কাজ করে থাকেন।