‘বন্ধু হারালাম’, পাসোয়ানের মৃত্যুতে টুইট মোদীর
রাম বিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুকে ব্যক্তিগত ক্ষতি হিসেবে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অসুস্থ থাকার পর আচমকাই বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিন তিনি বলেন, আমি বন্ধু হারালাম।
এদিন তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক জগতে তৈরি হল শূন্যতা, যা হয়ত কোনোদিনই পূরণ হবে না। তাঁর চলে যাওয়ার আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি। আমি একজন বন্ধ ও সহকর্মীকে হারালাম। উনি চাইতেন যাতে প্রত্যেক দরিদ্রও সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নিজের দক্ষতায় রাজনৈতিক জগতে জায়গা তৈরি করেছিলেন তিনি। এমার্জেন্সির বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তিনি একজন অসাধারণ সাংসদ।
কাঁধে লাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলেন পাসোয়ান।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোদীর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য রামবিলাস পাসোয়ান।
আরও পড়ুন: দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বায়ুসেনা সর্বদা তৈরি: বায়ুসেনা প্রধান
এদিন ট্যুইট করে সেই খবর জানিয়েছেন তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান।
জানা গিয়েছে, হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য মন্ত্রক সামলাতেন তিনি।
Shri Ram Vilas Paswan Ji rose in politics through hardwork and determination. As a young leader, he resisted tyranny and the assault on our democracy during the Emergency. He was an outstanding Parliamentarian and Minister, making lasting contributions in several policy areas. pic.twitter.com/naqx27xBoj
— Narendra Modi (@narendramodi) October 8, 2020
চিরাগ পাসোয়ান গত সপ্তাহে ট্যুইট করে জানান, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে হার্টে এক সার্জারি হবে। প্রয়োজনে পরে আরও একটি সার্জারি হবে।
বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। এছাড়াও লোকসভায় আটবার সাংসদ হয়েছেন বিহারের এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির সদস্য হিসাবে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু। ১৯৬৯ সালে প্রথমবার বিধানসভার সদস্য হন তিনি। পরে ১৯৭৪ সালে যোগ দেন লোকদলে। জরুরি অবস্থার বিরোধীতা করে গ্রেফতার হয়েছিলেন সেই সময়। জনতা পার্টির সদস্য হিসাবে ১৯৭৭ সালে তাঁর লোকসভার প্রবেশ। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
সুত্র: কলকাতা24×7