ঝাড়গ্রাম

নয়ন মাহাতোর সুখের সংসার ভাঙল হাতি

নয়ন মাহাতোর সুখের সংসার ভাঙল হাতি

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: শুক্রবার ভোর রাতে ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে সুয়াবাসা গ্রামে হানা দিল হাতি। ভাঙল মাটির বাড়ি। অল্পের জন্য দু’বছরের মেয়ে সহ প্রাণে বাঁচলেন এক দম্পতি। বন দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির বাড়িতে দু’বছরের মেয়ে অনুপমাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন পেশায় দিনমজুর নয়ন মাহাতো ও তাঁর স্ত্রী অষ্টমী।

রাত একটা নাগাদ জোড়াখালির দিক থেকে একটি দাঁতাল এসে বাড়ির দেওয়ালে দাঁত ঢুকিয়ে ভাঙতে শুরু করে। আচমকা ঘুম ভেঙে ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান তাঁরা। অষ্টমী বলেন, ‘‘মেয়েকে কোলে নিয়ে কোনও মতে স্বামীর সঙ্গে বেরিয়ে পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিই। হাতিটা আমাদের দেখতে পেলে রক্ষে থাকতো না।

’’ বাড়ি ভেঙে তছনছ করে রান্না ঘরের আলু, টমেটো, কুঁদরি খেয়ে নেয় হাতিটি। হাতির আক্রমণে খাট, টিভি সহ ঘরের যাবতীয় সামগ্রী নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নয়ন বলেন, “কখনও লরির খালাসির কাজ করি। কখনও রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে সংসার চলে। অনেক কষ্টে সংসারের প্রয়োজনের জিনিসপত্র কিনেছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।”

আরও পড়ুন : ছয় দশক পেরিয়ে ফিরে দেখা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী

স্থানীয়দের অভিযোগ ঘটনার পরে বন দপ্তরের লোকজন আসেননি। যদিও বন দপ্তর জানিয়েছে, রাতে কেউ খবর দেননি। নয়নের সম্পর্কিত মামা শুকদেব মাহাতোর বাড়িরও আংশিক ক্ষতি করে হাতিটি। প্রায় ঘন্টা খানেক তাণ্ডবের পরে দরখুলি হয়ে হাতিটি কলাবনির জঙ্গলের দিকে চলে যায়।

নয়ন মাহাতোর সুখের সংসার ভাঙল হাতি

বন দফতর জানিয়েছে, শঙ্খহারের জঙ্গল থেকে দু’টি রেসিডেন্ট হাতি সুয়াবাসা ঢুকেছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি করে একটি হাতি। পরে দু’টি হাতিই কলাবনির জঙ্গলের দিকে চলে যায়। সুয়াবাসা গ্রামে দু’টি বাড়ির ক্ষতি করেছে হাতিটি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সাহায্য করা হবে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button