জাতীয়

দেশের আর্মি শপে বিক্রি হবে না বিদেশি পণ্য, নির্দেশ কেন্দ্রের

দেশের আর্মি শপে বিক্রি হবে না বিদেশি পণ্য, নির্দেশ কেন্দ্রের
প্রতিকি ছবি

‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ছাড়া অন্য কিচ্ছু মিলবে না আর্মি শপে। সেনা ক্যান্টিনেও বিদেশি পণ্য বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশি পণ্যের মধ্যে থাকতে পারে নামী ব্র্যান্ডের অ্যালকোহলও। সেনা ক্যান্টিনগুলি অ্যালকোহল, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জরুরি পণ্য অনেক কম দামেই পাওয়া যায়।

সেনা কর্মী, প্রাক্তন সেনা আধিকারিক ও তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা সেনা ক্যান্টিন থেকে সস্তায় এইসব জিনিস কিনতে পারেন। ১ জুন থেকে দেশের কোনও আধা সেনা ক্যান্টিনে কোনও রকম বিদেশি সামগ্রী রাখা যাবে না বলেই নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

বলা হয়েছিল, আর্মি শপ, ক্যান্টিনগুলিতে থাকবে শুধু দেশীয় সংস্থার উত্‍পাদিত সামগ্রী। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য লোকাল পণ্য নিয়ে ভোকাল হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরেই সরকারি তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়া দেশকে বাঁচাতে স্বদেশি পণ্য উত্‍পাদনের উপরেই জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশীয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণাও করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মোদী বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে স্থানীয়ভাবে উত্‍পাদন বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন: কাশ্মীর ছাড়ব ভাবলে ভুল করছেন:‌ মেহবুবা মুফতি

তিনি বলেন, এটা করতে পারলে আগামী দিনে ভারত বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় পৌঁছবে। ভারতীয় সেনা ও আধাসেনার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। পরিবারের সদস্য মিলিয়ে মোটা উপভোক্তার সংখ্যাও মোটামুটি ৫০ লাখ। তাঁদের জন্য দেশে ১১৯টি প্রধান ক্যান্টিন রয়েছে।

এছাড়াও রয়েছে ১,৬৩৫টি সাবসিডিয়ারি ক্যান্টিন। এই সব ক্যান্টিন থেকে সেনা ও আধাসেনার সদস্যরা সস্তায় পণ্য কিনতে পারেন। এই সব ক্যান্টিনে বছরে ২,৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। সেই সব ক্যান্টিনে এখন শুধু স্বদেশি পণ্য বিক্রি হবে বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

চিনের তৈরি পণ্য যেমন ডায়াপার, ভ্যাকিউম ক্লিনার, হ্যান্ডব্যাগ, ল্যাপটপও রয়েছে বাতিলের তালিকায়। তবে এটা একেবারে নতুন তাও নয়। বছর খানেক আগেই বলা হয়েছিল, এই ধরনের ক্যান্টিনে যতটা সম্ভব স্বদেশি সামগ্রী বিক্রি করতে হবে।

খাবার দাবার থেকে জামাকাপড়, স্টেশনারি সব কিছুর ক্ষেত্রেই স্থানীয় সংস্থার থেকে সামগ্রী কিনতে বলা হয় ক্যান্টিনগুলিকে। তবে সেই সময়ে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। এবার কেন্দ্র জানিয়ে দিল, এটাই বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button