রাজ্য

দুর্গাপুজোর ভাসানকে ঘিরে রণক্ষেত্র চেহারা, আর তাতে চলল পুলিশের গুলি!

দুর্গাপুজোর ভাসানকে ঘিরে রণক্ষেত্র চেহারা, আর তাতে চলল পুলিশের গুলি!

দুর্গাপুজোর ভাসানকে ঘিরে রণক্ষেত্র চেহারা, আর তাতে চলল পুলিশের গুলি! তাতে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। আহতও হয়েছেন ২৭ জন। তবে, ঘটনাটি বাংলার নয়। বরং বিজেপি ও জেডি (ইউ) শাসিত বিহারে। ভোটের মাত্র একদিন আগেই এই ঘটনা বিহারের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিল।

ঘটনাটি ঘটেছে মুঙ্গেরে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার এক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে চালানো হয়েছে এলোপাথাড়ি গুলি। ওই ঘটনাতেই প্রাণ গিয়েছে এক কিশোরের। তাঁর নাম অনুরাগ পোদ্দার (১৮)।

বুধবারই বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন। আর প্রথম দফাতেই ভোট হবে মুঙ্গেরেও। সেখানে ভোটের মুখে এই পুলিশের লাঠি, গুলি চালানোর ঘটনা নিঃসন্দেহে নতুন করে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে দুর্গাপুজোর ভাসানকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বেশ কিছু সমাজবিরোধী ছিল।

তাদের তরফেই প্রথম পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। তাতে ২৩ জন পুলিশকর্মী আহতও হন বলে অভিযোগ। সেই সময় বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জের পাশাপাশি গুলি চালাতে হয়। সেই গুলি গিয়ে লাগে অনুরাগ পোদ্দার নামে ওই কিশোরের শরীরে। ভাসানযাত্রীদের মধ্যে সেও ছিল।

কিন্তু গুলিতেই মৃত্যু হয় তাঁর।পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। মুঙ্গেরের পুলিস সুপার লিপি সিং-এর দাবি, ‘পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ও পাথর ছুড়েছে জনতাই। পরিস্থিতি সামলাতে পালটা গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিনপুরের হাড়দা গ্রামে লক্ষ্মীপুজোতেই শারদীয় উৎসব

মোট ২৭ জন আহতের মধ্যে ২০ জনই পুলিশ কর্মী। তবে, পরিস্থিতি এখন আয়ত্তে।’ একজনের মৃত্যু হলেও মুঙ্গের সদর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৭ জনের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। তাঁদের ভাগলপুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার গুরুত্ব ও ভোটের আবহের কথা মাথায় রেখে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেছেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, নির্বাচন কমিশন যেন এই বিষয়ে তদন্ত করে পুরো বিষয়টি দেখে।’ যদিও এলজিপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান পালটা নীতীশ কুমার-বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিহারে তালিবানি শাসন চলছে।

এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিৎ। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ারও দাবি জানাচ্ছি।’ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বাংলার ভূমিজ জাতি নিয়ে নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘জাতীয় বাংলা সম্মেলন”.ইতিমধ্যে তারা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নিন্দা জানান এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button