ঝাড়গ্রাম

রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ও ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার জীবনাবসান

স্বপ্নীল মজুমদার

রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ও ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার জীবনাবসান
ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা

ঝাড়গ্রাম: অকাল প্রয়াত হলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বৃহস্পতিবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছেন।

প্রায় তিন সপ্তাহ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পেশায় চিকিৎসক সুকুমারবাবু ২০১১ সালে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসক পদে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে প্রথমবার ঝাড়গ্রাম আসনে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন। প্রথমে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী, পরে আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী হন।

২০১৬ সালে ফের তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এছাড়া বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হন। তবে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় গত বছর থেকে অসুস্থ ছিলেন। বেশিরভাগ সময় কলকাতায় থাকতেন।

আরও পড়ুন: বিনপুরের হাড়দা গ্রামে লক্ষ্মীপুজোতেই শারদীয় উৎসব

বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন কলকাতায় তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই ২০১১ সালে সুকুমারবাবু তৃণমূলের দলীয় রাজনীতিতে আসেন। এদিন সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ ঝাড়গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ও ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার জীবনাবসান

সঙ্গে আসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। জেলার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।

শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রামের দুবরাজপুর গ্রামের বাড়িতে সুকুমারবাবুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে গান স্যালুট দেওয়ার পরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুন: শীতে ঘরেই নিন শুষ্ক ত্বকের যত্ন

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button