ঝাড়গ্রাম

শুভেন্দু কোন পথে? ধন্দে জঙ্গলমহল

স্বপ্নীল মজুমদার

শুভেন্দু কোন পথে? ধন্দে জঙ্গলমহল
শুভেন্দু অধিকারী ছবি সংগৃহীত

ঝাড়গ্রাম: শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘যত মত, তত পথ’। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে ঝাড়গ্রাম জেলায় তাঁর অনুগামীরা বলছেন, “তোমার মতেই মত। তোমার পথেই পথ।” শুক্রবার মন্ত্রিত্ব থেকে শুভেন্দুর ইস্তফা দেওয়ার খবর চাউর হতেই ফেসবুকের দেওয়াল আছড়ে পড়ে শুভেন্দু অনুগামীদের মন্তব্যে।

ঝাড়গ্রাম জেলায় শুভেন্দুর প্রধান-অনুগামী স্নেহাশিস ভকত ফেসবুকে লেখেন, “তোমার মতেই মত। তোমার পথেই পথ। জঙ্গলমহলের মুক্তি সূর্য শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ।” তবে এদিন ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট করতে থাকেন তৃণমূলের আইটি সেলের শহরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জয় মাহাতো।

জয়ের পোস্ট নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা ধন্দে পড়েছেন। কারণ জয় ফেসবুকে যা লিখেছেন, তার সঙ্গে শুভেন্দু অনুগামীদের একাংশ সহমত নন বলে জানিয়েছেন। এদিন জয় প্রথমে লেখেন, “মানুষের কাজ করতে পদ লাগে না।” তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি পোস্টে লেখেন, “দাদা বিজেপি যাবে না ৫০০% গ‍্যারেন্টি।”

ফের তিনি লেখেন, “দাদা দল ছাড়বেন না শুধু শুধু চাপ নিচ্ছেন আপনারা, কত % গ্যারান্টি চান বলুন। তবে কিছু কলকাতার বাবুরা মজা নিচ্ছে দেখছি।” দলীয় আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর এমন ঘনঘন পোস্টে নানা ধরনের কমেন্ট করতে থাকেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: ধাক্কা সামাল দিতে শুভেন্দুর এলাকাগুলোতে ছুটে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী

এরপরে ফেসবুকে জয়ের মন্তব্য, “দলে থেকে দলের ক্ষতি করছে এসি রুমে বসে থাকা কলকাতার কিছু বাবুরা। বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন, লজ্জা থাকা উচিত ছিঃ। দাদা কিন্তু এখনও দলেই।” এরপরে আবার জয়ের পোস্ট, “শুভেন্দু অধিকারী(দাদার) এই ‘এগোনো পেছনো কেসটা’ সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত মাস্টার গেম।

শুভেন্দু কোন পথে? ধন্দে জঙ্গলমহল

আর এটা সমগ্র বাংলা,বাঙালি,আদিবাসী, জনজাতি, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে প্লাস পয়েন্ট।” রাতে অবশ্য সেই জয় ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন, “মেদিনীপুর তথা জঙ্গলমহলের মানুষ মুখ তুলে মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানে,লড়তে জানে! কারো চাকরবৃত্তি করে না। জয় জয় জঙ্গলমহল।”

তৃণমূলের একাংশ বলছেন, জয়ের এই পোস্টগুলি প্রমাণ করছে শুভেন্দু অনুরাগীরা কী পরিমাণে দোলাচলে রয়েছেন। শুভেন্দু কী করবেন তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। যদিও তাঁরা দাদার পথ অনুসরণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে কিছু তৃণমূলের অত্যুৎসাহী কর্মী যেভাবে ফেসবুকে শুভেন্দু বিজেপিতে যাবেন না বলে গ্যারান্টি দিচ্ছেন, তা নিয়ে বিভিন্ন ঠেকে শুরু হয়েছে বাজি ধরা।

আরও পড়ুন: পাহাড়ে নয়া রাজনৈতিক দল গঠন

রাতারাতি রাজ্য রাজনীতির প্রধান আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু। তিনি কী করবেন সেই অপেক্ষায় রয়েছেন শুভেন্দুর হাতের তালুর মত চেনা জঙ্গলমহলের বাসিন্দারাও!

আরও পড়ুন ::

Back to top button