ঝাড়গ্রাম

চিল্কিগড়ে কেক কেটে হনুমানসেবার বর্ষপূর্তিতে হাজির বিচারক-সহ বিশিষ্টজন

স্বপ্নীল মজুমদার

চিল্কিগড়ে কেক কেটে হনুমানসেবার বর্ষপূর্তিতে হাজির বিচারক-সহ বিশিষ্টজন

ঝাড়গ্রাম: চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দির লাগোয়া কনক অরণ্যের হনুমান-সেবার বর্ষপূর্তি হল মঙ্গলবার। এদিন মন্দির প্রাঙ্গণের ম্যারেজ হলে এক অনুষ্ঠানে কেক কেটে বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হল। ক‌নকদুর্গা মন্দির উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন ঝাড়গ্রাম আদালতের বিচারক সমরজিৎ রায়, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব বিচারক সুনীলকুমার শর্মা, সেবাভারতী কলেজের ভূগোলের বিভাগীয় প্রধান প্রণব সাহু, মন্দির উন্নয়ন কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমীর ধল প্রমুখ। পরে বিশিষ্ট অতিথিরা মন্দির প্রাঙ্গণে হনুমানদের খাবার বিতরণ করেন।

লুঠ ঠেকাতে সপ্তাহে রামভক্তদের পেট ভরাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত বছর ১ ডিসেম্বর হনুমানদের আহারদানের কর্মসূচি শুরু হয়। এগিয়ে আসেন ২০ জন দাতা। যাঁরা প্রতি মাসে একদিন করে হনুমানদের খাবার খরচ দেবেন। দাতাদের তালিকায় রয়েছেন জামবনির প্রাক্তন বিডিও থেকে বর্তমান বিএমওএচ, স্থানীয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক, থানার আইসি থেকে সাধারণ গ্রামবাসীও রয়েছেন। গত বছর ওই কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর।

চিল্কিগড়ে কেক কেটে হনুমানসেবার বর্ষপূর্তিতে হাজির বিচারক-সহ বিশিষ্টজন

আরও পড়ুন : অরণ্যশহরে সুখাদ্যের মরুদ্যান ‘ওয়েসিস রেস্তোরাঁ’

ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির চত্বরটি ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি, জেলার একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। চিল্কিগড়ের মন্দির লাগোয়া ৬০ একর জঙ্গলে রয়েছে বহু দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন গাছ-গাছড়া। সেই সঙ্গে রয়েছে কয়েক কয়েকশো হনুমান। চিল্কিগড়ের কনক অরণ্যটি এখন পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদের অধীনে। জঙ্গলের ভিতরে সেই অর্থে পর্যাপ্ত ফলের গাছ নেই। তাই দর্শনার্থী ও পর্যটকদের কাছ থেকে ফলমূল, মিষ্টি ছিনিয়ে নেয় রামভক্তের দল। তাই পুজোর সামগ্রী বিক্রির দোকান গুলি অনেকক্ষেত্রেই লাঠি-পাহারা দিয়ে পুজোর সামগ্রী সমেত দর্শনার্থীদের পৌঁছে দেন মন্দিরে।

পুজোর সময় দর্শনার্থীদের গর্ভগৃহের ভিতরে ঢুকিয়ে মন্দিরের দু’দিকে গ্রিল গেট বন্ধ রাখা হয়। কারণ, একটু সুযোগ পেলেই রাম ভক্তরা মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকেও ফলমূল, মিষ্টি লুট করে পালায়। এই সমস্যা ঠেকাতে গত গত বছর ১২ নভেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার হনুমানদের ভরপেট ফলার করানোর ব্যবস্থা করেছিল মন্দির উন্নয়ন কমিটি। কিন্তু একদিন হনুমান-বাহিনী শান্ত থাকলেও সপ্তাহের বাকি ছ’দিন তারা উৎপাত চালাচ্ছিল। সেই কারণে গত বছর ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন হনমানদের আহার দানের কর্মসূচি শুরু হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button