কাঁথি থেকেই শুভেন্দুর আক্রমণ সৌগত-ফিরহাদকে!
বিকালের গেরুয়া র্যালি থেকেই শুরু হয়েছিল পায়ে পায়ে ভিড় জমানোর পালা। কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে সেই ভিড় কার্যত পরিণত হল হাজারের সমাবেশে। আর সেই সভা থেকেই সদ্য সদ্য বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ শানলেন তৃণমূলকে।
সৌগত রায়কে নাম নিয়ে কিছুটা সমীহ বজায় রেখেই আক্রমণ শানলেও এদিন নাম না নিয়েই ফিরহাদ হাকিমকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁকে বারংবার ‘মিনি পাকিস্তান’ বলা মন্ত্রী বলে সম্বোধন করেন তিনি। তৃণমূলকে দক্ষিন কলকাতা কেন্দ্রীক দল বলেও এদিন কটাক্ষ হানেন শুভেন্দু।
আর এটাও জানাতে ভোলেননি যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহ’র হাত ধরে বিজেপি যেমন বাংলায় ২০০’র বেশি আসন পাবে তেমনি দিলীপ ঘোষ আর তিনি দুইজনে মিলে মেদিনীপুরের ৩৫টি বিধানসভা আসনেই বিজেপি প্রার্থীদের জিতিয়ে আনবেন।
শুভেন্দু এদিন সৌগতবাবুর নাম নিয়েই তাঁর উদ্দেশ্যে সমীহ বজায় রেখেই আক্রমণ শানেন। বলেন, ‘অধ্যাপক রায়কে তৃণমূল কোনওদিনও গুরুত্ব দেয়নি। মন্দের ভালো আজ তিনি দল ছাড়তে তাঁর কদর বেড়েছে। তিনি কীভাবে বলেন শুভেন্দু হেরেছে।
ঢাকুরিয়ায় ক্ষিতি গ্বোস্বামীর কাছে আপনি হারেননি? শুভেন্দুকে জেতাবার জন্য কাউকে আসতে হয়নি। কিন্তু ভূপেন শেঠ মারা যাওয়ার পরে বনগাঁতে সৌগত রায়কে জেতাতে আমাকে পাঠানো হয়েছিল ৩০০ কিমি দূরে সভা করতে।
অধ্যাপক রায় অনেক বড় বড় নীতিকথা বলে গিয়েছেন। হাজরা মোড়ে মমতার সম্পর্কে কী কথা বলেছিলেন সেই ক্যাসেটটা বাজাবো? শুনবেন নাকি? যেদিন নির্বাচনের ফল বেরবে, সেদিন সৌগতবাবু আমার বাড়ি এসে খাবেন।
ইন্দিরা গান্ধীর দলের হয়ে ইন্দিরা গান্ধিকেই জেলে পোরার জন্য কে সাওয়াল করেছিল সংসদে। ভুলে গেলেন। আমি কিন্তু লোকসভার লাইব্রেরি ঘেঁটে এসেছি।’
আরও পড়ুন: দল বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগে শোকজ অগ্নিমিত্রা পাল
সৌগতবাবুর প্রতি এই সমীহ বজায় রাখলেও শুভেন্দু কিন্তু বেশ তীব্র আক্রমণ শানেন ফিরহাদকে। বলেন, ‘মিনি পাকিস্তানওয়ালা মন্ত্রী বলছে শুভেন্দু তোমার মুখে পরিবারতন্ত্রের কথা মানায় না। আরে আমি আপনার জামাইকে বলিনি। লাল চুল কানে দুল, তার নাম তৃণমূল। আমি তাঁকে বলিনি।
আমি কয়লাচোর, বালিচোর, পাথরচোর, গরুপাচারকারীর কথা বলেছি। আবার ক্ষমতায় এলে ওরা এবার কিডনি পাচার করবে। আম্ফানের পরে কলকাতার মানুষ বুঝে নিয়েছে তাঁরা কী মেয়র পেয়েছে।’ এর পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলায় একটা সম্ভাবনাময় দলে পরিণত হয়েছে বিজেপি।
বাংলার মানুষ আগামীদিনে এই দলের নেতৃত্বেই বাংলায় সরকার গড়তে চাইছে। সৌমিত্রকে ধন্যবাদ জানাবো, ভাইয়ের রাস্তায় দাদাকে হাঁটতে বাধ্য করেছে। আমি এসেছি ৪৯ কে ৫১ করার জন্য। রাজ্যের ৬০টা দফতরের মধ্যে ৪০টা দফতর দক্ষিন কলকাতার ৪-৫টা লোকের হাতে।
তা বলে চিন্তা করবেন না পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমাতে যাব। সেদিন অধ্যাপক রায় আর মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রীকে আমার বাড়িতে নিয়ে এসে দুপুরের খাওয়াবো। এখন থেকে আমন্ত্রণ দিয়ে গেলাম।’
সুত্র: এই মুহূর্তে