কী হয়েছিল টাইটানিকের ছয় চীনা যাত্রীর
‘টাইটানিক’ জাহাজ ডুবির ভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনা করেছেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। ‘দ্য সিক্স’ নামের এ চলচ্চিত্রে ওঠে এসেছে ওই জাহাজে সওয়ার হওয়া ছয় চীনা যাত্রীর কাহিনি।
দুই যুগ আগে রোমান্টিক আখ্যান ‘টাইটানিক’ নির্মাণ করে হইচই ফেলে দেন ক্যামেরন। রাতারাতি পেয়ে যায় শীর্ষ আয়ের সিনেমার তকমা। নতুন ছবিটি ১৬ এপ্রিল মুক্তি পাবে চীনে।
ভ্যারাইটি ডটকম জানায়, ৯৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘দ্য সিক্স’-এর গল্প ১০০ বছর আগের হলেও সমসাময়িক বর্ণবাদ ও বৈরি পরিস্থিতি সমান্তরালভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
জাহাজ ডুবির পর প্রায় অলৌকিকভাবেই বেঁচে যান ছয় চীনা যাত্রী। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়। সেই ঘটনা ইতিহাসের বইয়ে এক প্রকার নেই-ই।
আরও পড়ুন :অবাধ্য সন্তানরাই বড় হয়ে বেশি বেতনের চাকরি পায়
‘দ্য সিক্স’ পরিচালনা করেছেন আর্থার জোনস। তিনি অনেক দিন ধরে বিদেশি নাগরিক হিসেবে চীনের বাসিন্দা।
তিনি বলেন, সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ছবিটি শুরু না করলেও শিগগিরই বর্তমানের সঙ্গে সমান্তরাল একটি অবস্থান আবিষ্কার করেন। ওই ছয় ব্যক্তি অবৈধ অভিবাসীর যথাযথ মডেল হয়ে দাঁড়ায়।
টাইটানিক ডুবিতে বেঁচে যাওয়া অনেকেই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বর্ণের কারণে নানা সমস্যায় পড়েন। যা আজও সেখানে থাকা তাদের বংশধরদের ভোগাচ্ছে।
জোনস জানান, তারা ওই ছয় যাত্রীর বংশধরদের খুঁজে বের করেন। এরপর কাহিনি টাইটানিক ছাড়িয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিকে মোড় নেই। অভিজ্ঞতার গভীরে গেলে দেখা যায় বর্ণ, অভিবাসন ও মানবিকতার দিক থেকে টাইটানিকের গল্প আরও বিষদ।
এক বিবৃতিতে জেমস ক্যামেরন জানান, চীনা নাগরিক ফ্যাং ল্যাং-র বেঁচে যাওয়ার গল্প থেকে জ্যাক (লিওনার্দো ডিকাপ্রিও) ও রোজের (কেট উইন্সলেট) বিয়োগান্ত শেষ দৃশ্যটি লেখা। নির্মাতা আরও জানান, ‘দ্য সিক্স’ হতে যাচ্ছে টাইটানিকের শেষ অজানা গল্প।
ছবিতে ‘টাইটানিক’ ছবির কিছু ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে।