উঃ ২৪ পরগনা

কোভিড স্যাটেলাইট সেন্টারের পরিনত হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন

কোভিড স্যাটেলাইট সেন্টারের পরিনত হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন - West Bengal News 24

কিশোরভারতী স্টেডিয়ামের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কোভিড-যুদ্ধে সামিল হল তিলোত্তমার গর্ব যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (Salt Lake Stadium)। কিশোরভারতীকে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালের রূপ দিতে যেমন এগিয়ে এসেছে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল (Medica Superspeciality Hospital), তেমন সল্টলেকের আমরি হাসপাতালের (AMRI Hospital) সহযোগীতায় যুবভারতীকে কোভিড স্যাটেলাইট সেন্টারের রূপ দিল রাজ্য সরকার।

স্টেডিয়াম সংলগ্ন যুব হোস্টেলে ২২৩টি শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য পরিষেবায় করোনা আক্রান্ত চিকিত্‍সাধীন রোগীদের পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন প্রদানের ব্যবস্থা থাকছে। এর মধ্যে ২১০টি’কে সাধারণ আইসোলেশন শয্যা হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তবে কোনও আইসিইউ (ICU) বা এইচডিইউ (HDU) পরিষেবার ব্যবস্থা আপাতত থাকছে না। পরবর্তীতে পরিসর বৃদ্ধি করে শয্যাসংখ্যা বাড়িতে ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হতে পারে যুবভারতীকে। শুক্রবার অর্থাত্‍, আজ থেকেই কোভিডের লড়াইয়ে সামিল হচ্ছে কলকাতা তথা বাংলার ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র।

আমরি হাসপাতালের মুখপাত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ‘স্টেপ-ডাউন ইউনিট হিসেবে আমরা এই পরিষেবা প্রদানে উদ্যোগী হয়েছি। যে সকল করোনা রোগী ধীরে-ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, যাদের আর সিসিইউ (CCU) পরিষেবা কিংবা অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন নেই তাদের এখানে চিকিত্‍সা চলবে। এই শয্যাগুলো সাধারণ আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার হবে। শুক্রবার থেকে এই অপারেশন শুরু হচ্ছে।’

কোভিডের দ্বিতীয় হানায় গোটা দেশের মতোই কলকাতা-সহ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যখন বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন এই উদ্যোগ সত্যিই সাধুবাদের যোগ্য। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে (Kishore Bharati Stadium) অস্থায়ী হাসপাতালের পরিষেবা প্রদান শুরু করেছে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, ইমপেরিয়াল টোব্যাকো কোম্পানির (ITC) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ঝাঁ-চকচকে স্টেডিয়ামকে ২০০ শয্যার অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালের রূপ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

আইটিসি’র আর্থিক সহায়তায় এবং মেডিকা হাসপাতালের অক্সিজেন প্ল্যান্টের সাহায্যে কিশোরভারতীতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চিকিত্‍সা চলবে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের। আইটিসি’র তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘অতিমারীর সময় কলকাতা শহরের বুকে সাধারণ মানুষকে আরও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করতেই এই উদ্যোগ।’

সুত্র :কলকাতা ২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button