ঝাড়গ্রাম

অবহেলিত সাঁওতালি মহাকবির সমাধি, পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণেও নেই সরকারি উদ্যোগ

স্বপ্নীল মজুমদার

অবহেলিত সাঁওতালি মহাকবির সমাধি, পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণেও নেই সরকারি উদ্যোগ - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: সাঁওতালি সাহিত্যের মহাকবি সাধু রামচাঁদ মুর্মুর সমাধিস্থলটি অবহেলায় রয়েছে। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ পাণ্ডুলিপি। সাধু রামচাঁদের জন্মস্থানটি হল বেলপাহাড়ি ব্লকের শিলদা অঞ্চলের কামারবান্দি গ্রামে।

সাধু রামচাঁদ মুর্মুর জন্ম হয় ১৮৯৭ সালের ৩০ এপ্রিল। পরাধীন ভারতে নিজের গানে-কবিতায় আদিবাসী সমাজকে জেগে ওঠার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর কবিতা, নাটক ও গানের পাঁচটি বই। ১৯৯৭ সালে সাধু রামচাঁদের জন্মশতবর্ষে বাম সরকারের আদিবাসী কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে তাঁর ভিটের সামনে আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়।

মহাকবির জন্মশতবার্ষিকীতে সরকারি ভাবে ‘সাধু রামচাঁদ অনলমালা’ (রচনা সমগ্র) প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। ২০০২ সালে সাধু রামচাঁদের নামে রাজ্য সরকার পুরস্কার চালু করে। ২০০৮ সাল পর্যন্ত তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে কামারবান্দি গ্রামে সরকারি ভাবে মহাকবির জন্মদিন পালন হয়েছিল। পরে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

অবহেলিত সাঁওতালি মহাকবির সমাধি, পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণেও নেই সরকারি উদ্যোগ - West Bengal News 24

সরকারের মুখাপেক্ষী না থেকেই মহাকবির স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত ‘সাধু রামচাঁদ মুর্মু উইহার বাথান’ (সাধু রামচাঁদ মুর্মু স্মৃতিরক্ষা কমিটি)। প্রতি বছর কামারবান্দি গ্রামে মহাকবির ভিটে চত্বরে তাঁর জন্মজয়ন্তী পালন করে ওই কমিটি। এ বছরও তারা জন্মদিন পালনের আয়োজন করেছিল।

সাধু রামচাঁদ মুর্মু উইহার বাথান-এর সম্পাদক সঞ্জয় হাঁসদা বলেন, প্রতি বছর আমরা মহাকবির জন্মদিন পালন করি। সরকারি ভাবে সাধু রামচাঁদের সমাধিস্থল সংরক্ষণের কাজ হয়নি। সাঁওতালি ভাষা গবেষণার কাজে অনেকেই গ্রামে আসেন। অথচ রামচাঁদের কোনও সংগ্রহশালাও আজ পর্যন্ত হয়নি। শিলদা থেকে কামারবান্দি পর্যন্ত খারাপ পিচ রাস্তাটাও সারানো হয়নি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button