ভোট পরবর্তী হিংসা দমনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশংসা হাই কোর্টের
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রতিদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করছে বিজেপি। বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের টিম। এই পরিস্থিতিতে সোমবার একটি মামলার শুনানিতে ভোট পরবর্তী হিংসা থামাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তারিফ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যে ঘটে চলা হিংসার ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। সেই শুনানিতেই হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্যের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে স্বাভাবিক।
মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন, তাই আলাদা করে সিট গঠনের এই মুহূর্তে কোনও প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, যে কোনও হিংসার ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তদন্তও হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে কোনও হিংসা নেই। আদালত রাজ্যের রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এদিন। যদিও মামলাকারীর তরফে রাজ্যের পেশ করা হলফনামার বিরোধিতা করা হলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সোমবার ফের একবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হলফনামা আকারে জমা দিতে।
মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। এদিনের শুনানিতে সাংবিধানিক বেঞ্চ এও বলেছে, গত ৭-৮ মে-র পর রাজ্যে একজনেরও রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর পাশাপাশি ইতিমধ্যে দিল্লির তরফে আরও কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজভবনের কাছে। সেই রিপোর্টের ব্যাপারে জানতে গত পরশু রাজ্যপাল ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি বীরেন্দ্রকে।
এদিন আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এদের কোনও লজ্জা নেই। এরকম ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রির পর কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়েছে। তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে অশান্তি পাকাচ্ছে।
এসবের মধ্যেই মমতা ও তাঁর সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করল হাইকোর্ট।
সূত্র: দ্য ওয়াল