জাতীয়

ভোট পরবর্তী করোনা বিপর্যয়ে নির্বাচন কমিশন-যোগী সরকারকে তিব্র ভৎসনা হাইকোর্টের

ভোট পরবর্তী করোনা বিপর্যয়ে নির্বাচন কমিশন-যোগী সরকারকে তিব্র ভৎসনা হাইকোর্টের - West Bengal News 24

করোনা আবহে সম্পন্ন হয়েছে উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচন (UP Panchayat Election)। এবার সেই ভোটকেই কেন্দ্র করে যোগী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মা। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীদের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কারনে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিল যোগী সরকার। তবে তা যথেষ্ট নয় বলেই জানাল হাইকোর্ট। আদালত যোগী সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে একযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মৃতের পরিবার পিছু ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের পরামর্শ দিয়েছে।

এর আগে যোগী সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছিল পরিবার পিছু ৩৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু আদালত নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে যে, শিক্ষকদেরকে জোর করে নির্বাচনী কাজের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল, যার ফলে তাঁদের কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আদালতের তরফে এও বলা হয় যে, ‘যদিও তাদের দেওয়া ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয়’। যোগী সরকার হাইকোর্টকে বলেছিল যে তারা নিহত কর্মীদের পরিবার পিছু ৩৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছে। তবে সেই মর্মে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে যে এই পরিমাণ খুব কম। এটি কমপক্ষে এক কোটি হওয়া উচিত। আদালত, যোগী সরকার (Yogi Govt) ও নির্বাচন কমিশনকে পূর্ব ঘোষিত তাঁদের এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রত্যাহার করতে বলেছে।

উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) কর্মচারী ইউনিয়ন যৌথ কাউন্সিল দাবি করেছে যে, এই নির্বাচনের সময় ডিউটিতে থাকা প্রায় দুই হাজার শিক্ষক পড়ে করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের একটি বেঞ্চ রাজ্যে কোভিড -১৯ প্রচারের জন্য দায়ের করা PIL-র শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন।

আদালত আরও বলেছে যে, “পরিবারের জীবিকা নির্বাহকারী ব্যক্তির জীবনের ক্ষতিপূরণ এবং এটিও রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছাকৃতভাবে আরটিপিসিআর ব্যতিরেকে দায়িত্ব পালনে বাধ্য করার কারণে ক্ষতিপূরণ কমপক্ষে এক কোটি টাকা হওয়া উচিত। আমরা আশা করি যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) এবং সরকার ক্ষতিপূরণের পরিমাণ পুনর্বিবেচনা করবে। ‘

আদালত এদিন যোগী সরকার এবং সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে যে, যদি কোনও সন্দেহজনক রোগীর মৃত্যু হয়, তবে এটিও করোনার মৃত্যু হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। কোনও হাসপাতালে সন্দেহজনক রোগীদের নন-কোভিড রোগী হিসাবে চিকিৎসা করা উচিত নয়। যদি কোনও ঠান্ডা থেকে সর্দি হয় এবং তা যদি রিপোর্টে না আসে এবং একটি মৃত্যু ঘটে, তবে এই জাতীয় মৃত্যুকে করোনার মৃত্যু হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। তবে শর্ত যে, তার হৃদরোগ বা কিডনিতে মারাত্মক কোনও সমস্যা থাকলে হবে না। আদালত কোভিড প্রোটোকলক মেনে এ জাতীয় মৃত্যুতে শ্মশান নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

সূত্র : কলকাতা ২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button