জীবন যাত্রা

জীবনে কোনও দিন সফল হতে পারবেন না, যদি আপনার মধ্যে না থাকে এই ৯টি গুণ

জীবনে কোনও দিন সফল হতে পারবেন না, যদি আপনার মধ্যে না থাকে এই ৯টি গুণ

জীবনে সর্বাঙ্গীন সাফল্য সকলের কাম্য। কর্মক্ষেত্রে, ব্যক্তিগত জীবনে, আর্থিক জীবনে—সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে কে না চায়! কিন্তু সফল হতে পারেন ক’জন? আপনি কি পাবেন আপনার জীবনে সাফল্য? পার্সোনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোচ এলিজাবেথ হার্লে জানাচ্ছেন, কোনও মানুষ সফল হবেন কি না, তা বোঝা যায় তাঁর মধ্যে ন’টি গুণের উপস্থিতি দেখে। কোন ন’টি গুণ? আসুন, জেনে নিই—

১. অন্যদের সাফল্যে খুশি হতে পারা: আজকের ইঁদুর দৌড়ের যুগে অত্যন্ত বিরল একটি গুণ। কিন্তু অন্যদের সাফল্যে যদি খুশি হতে না জানেন, তাহলে আপনার নিজের মধ্যেই বা সফল হওয়ার খিদেটা তৈরি হবে কীভাবে?

২. অন্যদের সফল হতে সাহায্য করা: মনে রাখবেন, সাফল্যের পথে আপনার সহযাত্রীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অর্থ, নিজের সাফল্যের সূত্রটিও আবিষ্কার করে ফেলা। এতে আপনার সফল হওয়ার রাস্তাটি প্রশস্ত হয়।

৩. নতুন কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বাড়ানো: একই ধরনের কাজে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখবেন কেন, বরং নিত্য নতুন কাজের মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতার পরিধিকে ক্রমাগত ব্যাপ্ত করে নিন। এই কাজই যে আপনার পেশা হতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। যে কোনও ধরনের শখ বা সমাজসেবার মাধ্যমেও বিস্তার লাভ করতে পারে আপনার অভিজ্ঞতা।

৪. কাজকে জীবনের অঙ্গ করে তোলা: কাজ আপনার সুখ-শান্তির বিরোধী, এমন ভাবনা ছাড়ুন। বরং কাজকে জীবনের অঙ্গ করে তোলার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন নিজের কাছের মানুষদেরও কাজের অংশ করে তোলার; যাতে পরিবার, শখ-আহ্লাদ, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে গড়ে ওঠা জগতের সঙ্গে সমান তালে চলতে পারে কাজের জগতও।

৫. সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠা: এর অর্থ, কোনও বিষয়কে শুধু নিজের দৃষ্টিকোণ না দেখে, অন্যদের অবস্থান থেকেও বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করা। এমনটা করলে আপনার চিন্তা-চেতনার পরিধি ব্যাপ্ত হবে।

৬. নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করা: অন্যদের কাছে নয়, নিজেকে প্রমাণ করুন নিজের কাছেই। নিজের কাছে নিজেই চ্যালেঞ্জ রাখুন, তার পর সফলতায় পৌঁছে নিজের দিকেই ছুড়ে দিন বিজয়ীর হাসি। মনে রাখবেন, অন্যদের কাছে নিজের সাফল্যের তুলনায় নিজের কাছে নিজের সাফল্য অনেক বেশি দামি।

৭. ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে কাজ করা: ঝড়ের গতিতে ছুটে চলা জীবনে ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে কাজ করার পরামর্শ কিঞ্চিৎ বাস্তববোধহীন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু ভেবে দেখুন, আপনার কাছে নিশ্চয়ই সাফল্যটা বড়, সময়টা নয়। যখন এক সঙ্গে অনেক বিষয়ে আপনাকে নজর রাখতে হচ্ছে, তখন সময় তো লাগবেই। তার অর্থ অবশ্য এই নয় যে, একটা কাজ সম্পূর্ণ করতে আপনি অনন্ত সময় নিয়ে নেবেন। শুধু এইটুকু মাথায় রাখুন যে, বড় কাজের জন্য সময় কিছুটা লাগবেই।

৮. নিজের ঢাক নিজে না পেটানো: সাফল্যের জন্য অহংকার করবেন না। বিনয় ও নম্রতা শুধু যে আপনার মানবিক গুণ বলে বিবেচিত হবে, এবং সমাজে আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে তা-ই নয়, বরং আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্যের পথও প্রশস্ত করবে।

৯. সবাইকে প্রাপ্য ধন্যবাদটুকু দেওয়া: মনে রাখবেন, কোনও মানুষই কেবল একার প্রচেষ্টায় জীবনে সফল হতে পারে না। আপনার সাফল্যে জড়িয়ে রয়েছে পরিচিত আরও বহু মানুষের অবদান। সাফল্য হস্তগত হওয়ার পরে সেই সব সাহায্যকারীদের প্রতি তাঁদের প্রাপ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতাটুকু জ্ঞাপন করুন। এতে শুধু তাঁরা খুশি হবেন, তা নয়, আপনার সাফল্যের আনন্দও দ্বিগুণ বর্ধিত হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button