আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক, আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত তিনজন
মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে প্রতিবাদে যে পাঁচ শিক্ষিকা বিষ খেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার সকালের খবর, এই তিন শিক্ষিকাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিন শিক্ষিকার দুজন ভর্তি এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। একজন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। বাকি দুই শিক্ষিকাও আরজি করে চিকিত্সাধীন। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৪০-৫০ মিলিগ্রামের মতো কীটনাশক এদের শরীরে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে লিভার ও শ্বাসযন্ত্রের। প্রথমে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তারপর শিখা দাস, জোত্স্না টুডু নামের দুই শিক্ষকার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আরো পড়ুন : ‘নির্বাচনের পর অনেকেরই মুখ দেখা যায়নি’, রিমঝিম প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপের
অভিযোগ ওঠে, হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিত্সক, নার্সরা গা করেননি। অনেক পরে তাঁদের চিকিত্সা শুরু হয়। ছ’তলার এমএফসি ওয়ার্ডে ওয়াশ হয়। বাকি তিন শিক্ষিকা পুতুল জানা মণ্ডল, ছবি দাস, অনিমা নাথকে ভর্তি করা হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এর মধ্যে পুতুল জানাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এদিন।
আরো পড়ুন : ‘নির্বাচন করার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’: দিলীপ ঘোষ
শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের তরফে নানান দাবি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। কখনও বিকাশ ভবন কখনও আবার নবান্নের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিক্ষিকারা। বেতন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে যোগ্য মর্যাদা একাধিক দাবি করা হয়েছে শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের তরফে। কিন্তু অভিযোগ, কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেনি সরকার। যে পাঁচ জন গতকাল বিষ খান তাঁদের অভিযোগ, অনৈতিকভাবে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: দ্য ওয়াল