ঝাড়গ্রাম

নেই সরকারি বরাদ্দ, ঝাড়গ্রাম জেলার একমাত্র মূক-বধির পড়ুয়াদের স্কুল সঙ্কটে

স্বপ্নীল মজুমদার

নেই সরকারি বরাদ্দ, ঝাড়গ্রাম জেলার একমাত্র মূক-বধির পড়ুয়াদের স্কুল সঙ্কটে - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: বাইরের জগৎটা ওদের কাছে শব্দহীন, ভাষাহীন! এমনই মূক ও বধির খুদে পড়ুয়াদের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার একমাত্র স্কুলটি সরকারি বরাদ্দের অভাবে চরম সঙ্কটে পড়েছে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের সেবায়তন এলাকার ‘পাঁচকড়ি স্বরবোধন নিকেতন’’। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী প্রয়াত পাঁচকড়ি দে।

মূলত এই আবাসিক স্কুলে প্রাক প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মূক ও বধির ছেলেমেয়েদের সম্পূর্ণ নিখরচায় পড়ানো হয়। স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা এখন ৯৫ জন। এই স্কুলে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার পাশাপাশি, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা পড়ে। ১৯৯২ সালে যখন স্কুলটি প্রথম শুরু হয় তখন নাম ছিল ‘সেবায়তন কল্যাণ কেন্দ্র’। পরে পাঁচকড়িবাবুর মৃত্যুর পরে স্কুলটির নাম পরিবর্তন হয়ে ‘পাঁচকড়ি স্বরবোধন নিকেতন’ নাম হয়েছে।

আরও পড়ুন : ‘লোকে তো ওনাকে আইএসআই-এর এজেন্ট বলে’, আক্রমণ সায়ন্তনের, ‘নোংরা রাজনীতি’, পাল্টা ফিরহাদ

স্কুলের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই দরিদ্র পরিবারের। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি অনুদানের অভাবে স্কুলটি বন্ধ হওয়ার মুখে। করোনা আবহে এখন স্কুলটি সাময়িক বন্ধ। কিন্তু স্কুল খুললে কিভাবে প্রতিষ্ঠানটি চলবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন পরিচালন কমিটির কর্মকর্তারা। স্কুলের পরিচালন মণ্ডলীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে কিছুদিন আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন বন প্রতিমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বিরবাহা হাঁসদা ও ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপার্সন কবিতা ঘোষ। ওই দিন কয়েকজন পড়ুয়াকে নিয়ে অভিভাবকরাও স্কুলে এসেছিলেন।

নেই সরকারি বরাদ্দ, ঝাড়গ্রাম জেলার একমাত্র মূক-বধির পড়ুয়াদের স্কুল সঙ্কটে - West Bengal News 24

স্কুল পরিচালন মণ্ডলীর সভাপতি সোমনাথ চক্রবর্তী জানান, ২০১৬ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলার একমাত্র মূক ও বধিরদের স্কুলটি পরিচালনার ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের অনুদান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বহু চেষ্টা করেও অনুদান মিলছে না। রাজ্য সরকারের কাছেও আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও কোনও সাহায্য মেলেনি। এই বিষয়ে বন প্রতিমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বিরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘স্কুলের সমস্যা মেটাতে যথাস্থানে জানাব।’’ ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপার্সন কবিতা ঘোষ বলেন, ‘‘সাধ্যমত স্কুলটির পাশে দাঁড়াব।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button